আগরতলা,১ এপ্রিল: প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ ঝর্ণাদাস পাল বৈদ্যের স্বামী শ্রীদাম পাল সহ ১৪ জনকে বীরচন্দ্র মনুতে যারা খুন করেছিল তারা কংগ্রেস ছিল। এখন ঝর্ণা দিদি হাত চিহ্নে ভোট দেবেন। আজ রামনগরে নির্বাচনী জনসভায় একথা বললেন পশ্চিম ত্রিপুরার লোকসভা আসনের প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব।
তাঁর কথায়, ত্রিপুরাতে কংগ্রেস ও সিপিমের কারণের বহু মানুষ খুন হয়েছে। জোট আমলে বহু সিপিমের কর্মী খুন হয়েছে তেমনি সিপিমের আমলে বহু কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে। আজ ত্রিপুরায় সেই কংগ্রেসও সিপিএমের মিতালি হয়েছে।
এদিন তিনি বলেন, সিপিএম ত্রিপুরায় রাজত্ব করেছিল একমাত্র যারা হাত চিহ্নের নেতৃত্ব দিয়েছিল। তা নাহলে কবেই ত্রিপুরায় সিপিএমের জামানা জব্দ হয়ে যেত। কারণ, ত্রিপুরায় সিপিএম এমন কোনো কাজ করেনি যে তারা ২৫ বছর শাসনকাল থাকবে।
তাঁর কটাক্ষ, ত্রিপুরার ৪ বারের মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার কমিউনিস্ট করে এসেছেন। যাঁরা সারা জীবন ধরে কাস্তি হাতুড়িতে ভোট দিয়েছেন, তাঁরা কিভাবে এখন হাত চিহ্নে ভোট দেবেন। তাদের এর চেয়ে দুর্দিন আর কি হতে পারে। আমার বিশ্বাস মানিক সরকার হাত চিহ্নে ভোট দিতে যাবেন না। যদি হাত চিহ্নে ভোট দিতে যান তাহলে ত্রিপুরাবাসীর কাছে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে তাঁকে।
বিজেপি -র কাছে আগে থেকেই দুই রতন রয়েছে। আর রতনের দরকার নেই।সিপিআইএম প্রার্থী রতন দাসকে তীব্র আক্রমণ করে এই কথা বললেন পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের বিজেপি মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব কুমার দেব।
এদিনের নির্বাচনী জনসভা থেকে কমিউনিস্ট পার্টির সমর্থকদেরও ভোট চাইলেন বিপ্লব কুমার দেব । তিনি বলেন ২০১৮ সালে কমিউনিস্ট সমর্থকরাও ভোট দিয়েছিল বলেই এক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় শুন্য থেকে সরকার পরিবর্তন সম্ভব হয়েছিল। জন-সংযোগের মাধ্যমে কমিউনিস্ট কর্মী সমর্থকদের কাছে আনার জন্য দলীয় কর্মীদের পরামর্শ দিলেন । তিনি অভিযোগ করেন কমিউনিস্টরা রাজ্য এবং রাষ্ট্রের উন্নয়ন চায় না। চীন দ্বারা ভারতে আক্রমণ বা ভারতের জমি অধিগ্রহণ তারা সমর্থন করে । কারণ এই দলের নীতি আদর্শ সবই চীনের । রাজ্যের মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে এতদিন ক্ষমতায় টিকেছিল তারা । যুব সমাজকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে বা সুন্দর আগামীর দিশা দিতে ব্যর্থ বিগত বামফ্রন্ট সরকার অন্যদিকে তাদের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যে নেশা কাজ আমদানি করে । নেশার স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয় ত্রিপুরা । রাজ্যে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। চাঁদার জুলুম থেকে রেহাই পায়নি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ । সরকারি কর্মচারীদের স্কেলের উপর নির্ধারিত হতো কত শতাংশ কমিশন তাদের দলীয় খাতে জমা করতে হবে ।
শ্রমিক মেহনতি মানুষের দোহাই দিয়ে পরোক্ষে তাদের পিছিয়ে রেখেছিল কমিউনিস্টরা। কিন্তু কেন্দ্র রাজ্য বিজেপি সরকারের সময়ে সমস্ত অংশের মানুষের কল্যাণ হচ্ছে । লোকসভা নির্বাচনে রামনগর উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি কে রেকর্ড ভোটে জয়ী করার আহ্বান জানান তিনি ।