নয়াদিল্লি, ২৬ মার্চ (হি.স.): বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এবার তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে আপত্তি তুলল কংগ্রেস।
একটি বাংলা সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই অভিজিতের প্রার্থিপদ বাতিলের দাবি তুলেছে তারা। বিচারপতির পদ ছেড়ে বিজেপি-তে যোগদানের সিদ্ধান্তের পরই ওই চ্যানেলে মুখোমুখি হন অভিজিৎবাবু। প্রশ্নোত্তর পর্বে মহাত্মা গাঁধী না নাথুরাম গডসে, কাকে বেছে নেবেন, জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। এর প্রেক্ষিতে অভিজিৎবাবু জানান, এই প্রশ্নের উত্তর এখনই দিতে পারবেন না তিনি। ভাবতে হবে তাঁকে।
গান্ধী না গডসে, কেন দু’জনের মধ্যে কোনও একজনকে বেছে নিতে পারবেন না জানতে চাইলে অভিজিৎবাবু জানান, আইনের পেশায় যুক্ত থাকার দরুণ কাহিনির অন্য দিকটিও বোঝার চেষ্টা করতে হবে আমাকে। ওঁর (নাথুরাম গডসের) লেখালেখিও পড়তে হবে তাঁকে। বুঝতে হবে, কী কারণে গান্ধীকে খুন করতে উদ্বুদ্ধ করে তাঁকে। যত ক্ষণ পর্যন্ত তা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে বেছে নিতে পারবেন না তিনি।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাক জয়রাম রমেশ সোমবার রাতে সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘শুধু করুণই নয়, এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় যে কলকাতা হাইকোর্টের একজন বিচারপতি, যিনি প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদধন্য হয়ে বিজেপি-র প্রার্থী হতে বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন, তিনি গান্ধী এবং গডসের মধ্যে থেকে কাউকে বেছে নিতে পারছেন না। এটা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। যাঁরা মহাত্মা গান্ধীর উত্তরাধিকার কব্জা করার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করে না, অবিলম্বে ওঁর প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করা উচিত তাঁদের’।
সরাসরি নাম না করলেও, অভিজিৎবাবুকে প্রার্থী করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেন তিনি। নির্বাচনী বন্ড ঘিরে বিতর্কের রেশ টেনে জয়রামবাবু লেখেন, ‘জাতির জনককে রক্ষা করতে চাঁদার জনক কী করবেন’?