মমতাকে নিয়ে অমিতের তোপকে কটাক্ষ তৃণমূলের

কলকাতা, ১৪ মার্চ (হি.স.): দেশের সুরক্ষা নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার পালটা দিয়ে ঘাসফুল শিবিরের কটাক্ষ, অনুপ্রবেশ আটকানোর দায়িত্ব বিএসএফের। অমিত শাহের বিএসএফ ব্যর্থ বলেই এখন সিএএ প্রসঙ্গ তুলছেন।

দলীয় নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “সীমান্ত পাহারা দেয় অমিত শাহের অধীনে থাকা বিএসএফ। অনুপ্রবেশের দায় তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরই। বিএসএফ ব্যর্থ বলেই এখন উল্টো কথা বলছেন তিনি। হিন্দু-মুসলমান ভেদাভেদের রাজনীতি করছেন। উনি পরোক্ষে মেনে নিলেন বিএসএফ ব্যর্থ। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগেও অমিত শাহ অনেক কথা বলেছিলেন। তবে উনি জানেন, মানুষ কার পাশে আছে।” ‘শাহ’ –এর তোপের পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সাগরিকা ঘোষও। তাঁর কথায়, “ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন এনেছে বিজেপি সরকার। যদি হিন্দুদের কথাই এত ভাবা হয় তাহলে অসম নিয়ে কী বলবেন? এনআরসি করে সেরাজ্যের ১৩ লক্ষ বাঙালি হিন্দুকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আসলে আপনারাই ধর্মের বিভাজন ঘটিয়ে ভোট টানতে চাইছেন।”

প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে রাজনীতি করার জন্য তৃণমূল নেত্রী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে তফাত বুঝতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মমতা বলেছেন, অসমের মতো বাংলায় তিনি ডিটেনশন ক্যাম্প করতে দেবেন না। সিএএ-র সঙ্গে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) সম্পর্ক আছে। মমতার বক্তব্য খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, শরণার্থী ও অনুপ্রবেশকারী এক নয়, উনি এটার ফারাক ধরতে পারছেন না।