BRAKING NEWS

হেল্পার নিয়োগকে কেন্দ্র করে ঝামেলা , বঞ্চিত ছাত্রছাত্রীরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ৭ মার্চ: বাগবাসা বিধানসভার অন্তর্গত বিষ্ণুপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে দুই হেল্পার নিয়োগকে কেন্দ্র করে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ায়, প্রতিদিন পরিপূরক পুষ্টি খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে  ছাত্রছাত্রীরা।

জানা গেছে, বিষ্ণুপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য ভূমি দান করেছিলেন ছেরাগ আলি (৭০) সেই সময় এই ভূমিদানের ফলে উনার ভাইয়ের স্ত্রী খতিজা খাতুন চাকুরী প্রায় ।

 গত পাঁচ বছর আগে তিনি মারা যাওয়ায় তৎকালীন পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের সহ স্থানীয়  পরিচালন বডি সিদ্ধান্ত মোতাবেক খতিজা খাতুনের পুত্রবধূ পিয়ারা বেগম লস্করকে ২০১৯ সালের ০৮ মার্চ সেখানে নিয়োগ করা হয়। এভাবেই চলছিল এতদিন বছরের পর বছর । কিন্তু মাসকয়েক পূর্বে কদমতলা সিডিপিও অফিস সহ সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মাধ্যমে দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে রাহানা বেগম (স্বামী আব্দুল করিম) কে এক নম্বর ওয়ার্ডের বিষ্ণুপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য হেল্পারের পদে নিয়োগ করার বাধে বিপত্তি।

 গত (৪ মার্চ) সোমবার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রাহানা বেগম আসতেই স্বাভাবিক ভাবে শুরু হয় দুই হেল্পারের মধ্যে ঝগড়া। এমনকি দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা কদমতলা থানা পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। বর্তমানে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ওয়ার্কার হিসাবে নিযুক্ত আছেন হুসনারা বেগম। উনার সাথে কথা বলে জানা যায়, এই সমস্যা চলার ফলে বেশ কয়েকদিন থেকে  অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রতিদিন পরিপূরক পুষ্টি খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে  ছাত্রছাত্রীরা ।

তাছাড়া হুসনারা বেগম আরো জানান এই বিষয়ে তিনি কদমতলা সিডিপিও বিশ্বজিৎ দাস ও সুপারভাইজার রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্যকে জানিয়েছেন। কিন্তু তারা এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি এখন পর্যন্ত।  এদিকে এলাকাবাসিদের সাথে কথা বলে জানা যায়  দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে রাহানা বেগমকে এনে এক নম্বর ওয়ার্ডে হেল্পার হিসাবে যুক্ত করেছে দপ্তর। কারণ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে যেকোন কাউকে হেল্পারের নিয়োগের কথা রয়েছে। যদি কেউ এক নং ওয়ার্ড থেকে হেল্পার পদে চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন না করেন সে ক্ষেত্রে অন্য ওয়ার্ড থেকে চাকরি প্রদান করা যায়।

 ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলার সময় ১নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে হেল্পারের চাকরি পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন।  সেই জায়গায় অন্য ওয়ার্ড থেকে মহিলা এনে সরকারের নিয়ম ভঙ্গ করায় সকলেই বলছেন ডাল মে কুচ কালা হে। ভূমিদাতা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার ভাতিজা বধূকে হেল্পার নিয়োগ করা হয়েছে। যে এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এছাড়াও এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে পিয়ারা বেগম লস্কর  সহ বেশ কিছু মহিলা হেল্পার পদে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সকলকে বাদ দিয়ে দুই নম্বর ওয়ার্ড থেকে অন্য এক মহিলাকে এনে কোন সঠিক বিচার করা হয়েছে। তিনি ভাবতে পারছেন না। তবে দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণুপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে হেল্পার ছাড়া চললেও হেলদোল নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।এলাকাবাসীরা এই বিষয়ে রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী টিংকু রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ চাইছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *