শ্রীনগর, ৭ মার্চ (হি. স.) : বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে জনসভা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর এই ৫ বছরে প্রথমবার জম্মু-কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিন শ্রীনগরের বকসি স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভা রয়েছে। সভাস্থল বিরাট বড় না হলেও, প্রধানমন্ত্রীর সভা হওয়ায় বিপুল জনসমাগমের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক প্যারামিলিটারি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে বকসি স্টেডিয়ামকে।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট ১১০০টি বাস ছাড়বে। এছাড়া শ্রীনগরের বিভিন্ন স্কুল থেকেও ১০০টি বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। বিজেপির দাবি, ২ লক্ষেরও বেশি জনসমাগম হবে প্রধানমন্ত্রীর সভায়। ইতিমধ্যেই জম্মু থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ শ্রীনগরে এসে পৌঁছেছেন। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় জায়ান্ট স্ক্রিনও বসানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভার সরাসরি সম্প্রচার দেখানোর জন্য।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুগ বলেন, “এখানে (জম্মু-কাশ্মীরে) উন্নয়ন হয়েছে, শিল্প তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কাশ্মীরে দুর্নীতি শেষ হয়েছে। জম্মু-কাশ্মীরের মানুষরা ৩৭০ অনুচ্ছেদের শিকল ভেঙে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা শুনতে আসবে।” এদিনের এই সভা থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কৃষি ও পর্যটন সংক্রান্ত একাধিক প্রকল্পের ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পাশাপাশি তিনি হজরতবুল দরগার সংস্কার প্রকল্পেরও উদ্বোধন করবেন। এছাড়াও ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহার করা এবং জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ায় আদতে যে উপত্যকাবাসী উপকৃতই হয়েছে, তা তুলে ধরা হবে এই সভা থেকে। পাশাপাশি কাশ্মীরে শান্তি ফেরানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের প্রচারও করা হবে।

