BRAKING NEWS

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরার অবদান স্মরন 

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ফেব্রুয়ারি:  বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা সরকার ও ত্রিপুরার জনগণের অবদানের কথা অকুণ্ঠ চিত্তে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করলেন সাংবাদিক, শিল্পী, লেখকগণ।  বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবের আমন্ত্রণে তিন দিনের ঢাকা সফর করেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের ১৩ সদস্য এক প্রতিনিধি দল। ঐ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আগরতলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য। 

 সফরের দ্বিতীয় দিনে আগরতলা প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধি দলটি বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া যান এবং তার সমাধিক্ষেত্রে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।  সফরের তৃতীয় দিনে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আয়োজনে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিপুরা’ শীর্ষক আলোচনায় বিভিন্ন বক্তা ত্রিপুরার অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে আলোচনা করেন। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক হারুন হাবিব বলেন, ত্রিপুরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থান। এই রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে  বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য অবদান রেখেছেন। আজকের দিনে তাদের সবাইকে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।  প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মুনতাসির মামুন, শিল্পী হাসেম খান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সম্পাদক শ্যামল দত্ত সহ সকলেই ত্রিপুরা ও আগরতলার মুক্তি যুদ্ধে ভূমিকা স্মরণ করলেন। উঠে এলো ত্রিপুরা সহ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষদের আত্মিক ও রক্তের সম্পর্কের কথা। এই  সম্পর্ক কে কেউ ছিন্ন করতে পারবে না বলেও দৃঢ়তার সঙ্গে বললেন এক সুরে সকলে। 

আগরতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য সশ্রদ্ধ চিত্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাঙালি জাতিসত্তার স্থপতি এবং দুই দেশের সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করেন। পরবর্তীকালে তাঁর সুযোগ্যা কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয়। আগরতলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদ আলী ও সম্পাদক রমাকান্ত দে দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান।  

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সম্পাদক শ্যামল দত্ত ত্রিপুরা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, অধ্যাপক ডাঃ  মানিক সাহাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।  শ্রী দত্ত বলেন, গত কয়েক মাস আগে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের ত্রিপুরার সফরের সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়ে আমাদের চা পানের আমন্ত্রণ জানান।  তিনি দু দেশের সম্পর্কের উত্তরোত্তর উন্নয়নের কথা বলেন। তাঁর  আন্তরিকতায় আমরা মুগ্ধ।  বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদের আমন্ত্রণে আগরতলা প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি দলটি তার বাসভবনে একটি চা চক্রে মিলিত হন।  তিনি বলেন, ”দুই দেশের সম্পর্ক গভীর ও আন্তরিক ।  প্রতিদিন এই সম্পর্ক আরো উন্নত হচ্ছে”। আগরতলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জাতীয় প্রেস ক্লাবের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও আন্তরিক আতিথেয়তার জন্য উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *