BRAKING NEWS

সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হাফলঙে শেষকৃত্য সম্পন্ন উত্তরপ্রদেশে খুন সেনা জওয়ান কমল জইশির

হাফলং (অসম), ২৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলা সদর শহর হাফলঙের পার্শ্ববর্তী কানাইবস্তির স্বগৃহে নিয়ে আসা হয়েছে উত্তরপ্রদেশের বরেলি থানাধীন মেহেতা দোয়ারে অবস্থিত ৬০৬ ইএমই সেনা ক্যাম্পে সহকর্মীর গুলিতে নিহত কমল জইশির মৃতদেহ। আজ সোমবার সেনা জওয়ান কমল জইশির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হাফলং শ্মশানঘাটে সম্পন্ন হয়েছে।

ঘটনা গত ২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের বরেলি থানার অন্তর্গত ৬০৬ ইএমই সেনা ক্যাম্পে সংগঠিত হয়েছে। ডিমা হাসাও জেলার বাসিন্দা ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাবিলদার কমল জইশিকে গুলি করে হত্যা করেছে তার সহকর্মী অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা রাজেশ রত্না।

উত্তরপ্রদেশের বরেলির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিটি) রাহুল ভাট্টি জানিয়েছিলেন, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বরেলি থানার অন্তর্গত মেহেতা দোয়ারে ৬০৬ ইএমই সেনা ক্যাম্পে কমল জইশি নামের এক হাবিলদারকে তার সহকর্মী সেনা জওয়ান রাজেশ রত্না গুলি করে হত্যা করেছে। এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তদন্তে নেমে সেনা ক্যাম্পে সংস্থাপিত সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত রাজেশ রত্নাকে গ্রেফতার করে বরেলি পুলিশ।

কমল জইশির পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ২৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরপ্রদেশের ৬০৬ ইএমই সেনা ক্যাম্প থেকে তাঁর বাবাকে ফোন করে জানানো হয়, স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে কমল জইশির মৃত্যু ঘটেছে। বিএসএফে কর্মরত সেনা বাহিনীর হাবিলদার কমল জইশির দাদা জানিয়েছেন, ৬০৬ ইএমই সেনা ক্যাম্প থেকে এই ঘটনা লুকিয়ে রেখে তাঁদের জানানো হয় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের বরেলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকারী রাজেশ রত্নাকে গ্রেফতার করার পর ঘটনাটি সামনে আসে।

ভাই বলেন, আগামী ৩১ মার্চ কমল জইশির অবসর গ্রহণ করার কথা ছিল। সে জন্য কিছু নথিপত্র স্বাক্ষর করার জন্য কমল জইশি ৬০৬ ইএমই সেনা ক্যাম্পে যান। সেখানে অবস্থানকারী গার্ড কমান্ডার রাজেশ রত্নার সঙ্গে হাবিলদার কমল জইশির সঙ্গে কোনও বিষয়ে বচসা বাঁধে গার্ড কমান্ডার রাজেশ রত্নার। তখন সেনা ক্যাম্পের এক সেন্ট্রির হাত থেকে বন্দুক নিয়ে গুলি করে হত্যা করে কমল জইশিকে।

অথচ সমগ্র ঘটনাটি ৬০৬ ইএমই সেনা রেজিমেন্ট লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ করে কমল জইশির ভাই অভিযোগ করে বলেন, সেনা ক্যাম্পের সেন্ট্রি ও গার্ড কমান্ডার মিলে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তিনি এ ঘটনার তদন্ত করে ভাইয়ের হত্যাকারীকে কঠোর শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে অসম গোর্খা সম্মেলন ও গোর্খা স্টুডেন্টস্ অর্গানাইজেশন ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাবিলদার কমল জইশির হত্যাকারী রাজেশ রত্নার কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়ে সরকারকে নিহত জইশির পরিবারকে এককালীন আর্থিক সাহায্য প্রদান করার দাবি জানিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *