নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ ফেব্রুয়ারি: দ্রুতগামী এক গাড়ির ধাক্কায় আট নং জাতীয় সড়কের পাথারকান্দির হরিবাসরে প্রাণ হারালেন এক কাঠমিস্ত্রী। ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে শুক্রবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ। এতে মৃত ব্যক্তির নাম ময়না কন্দ(৩৫)। পিতার নাম মিত্রমোহন কন্দ। বাড়ি স্থানীয় এলাকায়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মৃত ময়না পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।শুক্রবার রাতে তিনি বাজার করে বাড়িতে ফেরার পথে লোয়াইরপোয়া থেকে পাথারকান্দি অভিমুখী দ্রুতগামী একটি ছোট গাড়ির ধাক্কায় গুরতর আহত হয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান।পরে স্থানীয়রা বিকট শব্দ পেয়ে অকুস্থলে পৌছে দেখেন রাস্তার মধ্যে পড়ে আছে সর্বজন পরিচিত কাঠমিস্ত্রির নিথর দেহ।ঘটনার পর ঘাতক গাড়িটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।
পরে প্রতিবাদি জনগন এ কান্ডে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করেন। এমন খবর পেয়ে মাঠে নামেন স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য সুনীল কন্দ বিজেপি কর্মী শম্ভুলাল নাগ বৈঠাখাল বাগানের অ্যাকাউন্ট্যান্ট গৌতম পাল সহ অন্যারা।তারা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
পরে খবর দেওয়া হয় পাথারকান্দি থানায়। এতে পাথারকান্দি পুলিশের একটি দল অকুস্থলে পৌছে উত্তেজিত জনগনকে বুজিয়ে সুজিয়ে মৃতের পরিবারকে সুবিচার পাইয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দিলে সড়ক অবরোধ মুক্ত হয়। কিন্তু পরবর্তিতে ফের সার্কেল অফিসারকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হবার দাবিতে সড়ক অবরোধে নেমে পড়েন স্থানীয়রা। এতে মাঠে নেমে অবরোধ মুক্তের প্রচেষ্টা করেন ওসি দীপক দাস। কিন্তু উনার প্রয়াসও ভেস্তে যায়।
পরে বিষয়টি নিয়ে গুয়াহাটি থেকে ফোনযোগে উত্তেজিত জনতার সাথে কথা বলেন বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল।এতে কাজ হয়।তোলে নেওয়া হয় সড়ক অবরোধ।পরে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করা হয় জেলা সদর হসপিট্যালে।শনিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারবর্গের হাতে সমঝে দেবার খবর পাওয়া গেছে।জানা গেছে মৃতের মা ও এক বোন রয়েছেন।পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারি ব্যক্তিটির দুর্ঘটনাজনিত কারনে অকাল মৃত্যুতে পুরো পরিবারটি নি:স্ব হয়ে গেছে।এই অসহায় পরিবারটিকে সরকারি সাহায্য পাইয়ে দিতে স্থানীয়রা ডিসি সিও সহ বিধায়কের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।