নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ২১ ফেব্রুয়ারি: আগাম ঘোষণা অনুযায়ী উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থেকে বুধবার সকালে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা দিল একটি বিশেষ ট্রেন।ধর্মনগর থেকে ১৩২৮জন যাত্রীকে নিয়ে আস্থা ট্রেন রওনা হল অযোধ্যার উদ্দেশ্যে। এদের মধ্যে ছিলেন রামলালা দর্শনে অধীর আগ্রহে যাত্রী ফিরোজা বেগমও।
বুধবার সকাল ১০.০৫ মিনিটে ধর্মনগরের রেলস্টেশন থেকে অযোধ্যার রামলালার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে এই বিশেষ ট্রেন আস্থা।
যাত্রা শুরুর আগে ধর্মনগরের রেল স্টেশনে সকাল আটটা থেকে তাদেরকে অভিবাদন জানিয়ে এক সভার আয়োজন করা হয়েছে এদিন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, ওবিসি মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী মলিনা দেবনাথ, বাগবাসা বিধানসভার কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ, ধর্মনগর পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এই ট্রেনে ফিরোজা বেগম(৩৯), যার বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরার শান্তিরবাজারের দেবীপুরে, তিনিও রাম লালা দর্শনে আকৃষ্ট হয়ে সবার সাথে যাত্রা শুরু করেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে ফিরোজা বেগম জানান চার বছর আগে সে মুসলিম ধর্ম পরিত্যাগ করে সাহা পরিবারের এক ছেলের সাথে বিয়ে হওয়ায় হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
রাম লালা দর্শনের প্রতি মনের যে তাগিদ সেই তাগিদকে সাঙ্গ করে সেও এই দ্বিতীয় পর্যায়ের ১৩২৮ জন যাত্রীর মধ্যে ১২০৫ নং যাত্রী হিসেবে আস্থা ট্রেনে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।
যাত্রীদের অভিবাদন অনুষ্ঠানে প্রদেশ বিজেপির সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য বলেন যারা যাচ্ছেন তারা যাতে রামলালার কাহিনী দর্শনের পর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ ৫০০ বছর বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাত সংগ্রামের পর লক্ষ লক্ষ রাম সেবকদের এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক প্রয়াসে ও আইনি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে রাম জন্মভূমিতে রামলালাকে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে সরজু নদীতে স্নান করে রামলালার পূজা অর্চনা করতে এবং মনের তৃপ্তি উপলব্ধি করতে বলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই জয় একটা ভারতবাসীর জন্য বিশাল জয় বলে উল্লেখ করা হয় এদিনের সভায়। এই জয় শুধুমাত্র একটা ধর্মের জয় নয় ভারতবাসী হিসেবে একটা ঐক্যের জয়। সবার সুবিধার জন্য ইতিমধ্যেই আটজনের একটি দল অযোধ্যায় বিমানযোগে পৌঁছে গেছে যারা যারা যাচ্ছে তাদের সার্বিক সুবিধার ব্যবস্থা নিয়ে নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখবেন।
উল্লেখ্য এই বিশেষ ট্রেনের চালক অর্থাৎ লোকো পাইলট হিসেবে রয়েছেন মোঃ সাদি কায়সার এবং সহচালক হিসেবে রয়েছেন অমিত কুমার।