আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি: শ্যালিকাকে অপহরণ করে বহিঃরাজ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের দায়ে ভগ্নিপতিকে দোষী সাব্যস্ত করে একাধিক ধারায় সাজা ঘোষণা করল গোমতী জেলার জেলা ও দায়রা আদালত। তাঁকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের জেল। তাছাড়া, তাঁকে পক্সো এক্টে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
জানা গিয়েছে, অমরপুরের ফটিক সাগরের পাড় এলাকার বাসিন্দা রাজীব কর্মকার বিয়ের পর থেকে নিজের স্ত্রীর উপর নির্যাতন করতেন। স্ত্রীকে নির্যাতন করে শ্যালিকাকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিলেন। শ্যালিকা কু-প্রস্তাবে রাজি না হলে স্ত্রীর উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িতে দিয়ছিল। ২০২১ সালের ৩ জুন রাজীব কর্মকার নিজের শ্যালিকাকে জোর পূর্বক অপহরণ করে চেন্নাই নিয়ে চলে গিয়েছিল।
আরও জানা গিয়েছে, সেখানে গিয়ে একটি ঘর ভাড়া করে শ্যালিকাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস শুরু করেছিল। চেন্নাই থাকাকালীন সময় সে নিজের শ্যালিকাকে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এইদিকে রাজীব কর্মকারের শ্বশুর বাড়ি থেকে কাঁকড়াবন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তী সময় রাজীব কর্মকার শ্যালিকাকে নিয়ে রাজ্যে আসার পর পুলিশ বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আদালতে এই মামলার শুনানি চলাকালীন সময় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাক্য গ্রহণ করা। সোমবার আদালত অভিযুক্ত রাজীব কর্মকারকে একাধিক ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে। অপহরণের দায়ে রাজীব কর্মকারকে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৩ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের জেল। পক্সো এক্টে দোষী সাব্যস্ত করে ১২ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।