BRAKING NEWS

কোকরাঝাড়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক সোবর্নো আইজ্যাক বারী

– নবপ্ৰজন্মকে গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর আহ্বান

কোকরাঝাড় (অসম)১৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : দুদিনের সফরে ‘বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন’ (বিটিআর)-এর সদর কোকরাঝাড়ে এসেছেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক সোবর্নো আইজ্যাক বারী।

আজ রবিবার কোকরাঝাড়ে অবস্থিত বড়োল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত দ্বিতীয় আন্তঃকলেজ যুব-উৎসবের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন বালক-অধ্যাপক সোবর্নো আইজ্যাক বারী। এখানে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক কোকরাঝাড়ের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক, প্রভাষক এবং শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। সিআইটি, বিবি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, কোকরাঝাড় মেডিক্যাল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ হাজারের বেশি ছাত্র, অধ্যাপক, প্রভাষক এবং স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী মতবিনিময় সেশনে অংশগ্রহণ করেছেন।

আগামীকাল সোমবার কোকরাঝাড়ের বোডোফা সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে বিটিসি শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত এক বিশাল মতবিনিময় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রফেসর বারী।

আজকের মতবিনিময় অনুষ্ঠানের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় অধ্যাপক সোবর্নো আইজ্যাক বারী বলেন, গণিত ও বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি এবং সঠিক প্রয়োগের বিষয়ে ভবিষ্যৎ তথা নবপ্রজন্মকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘ইফ ইউ ওয়ান্ট টু নো হোয়াট-ইজ গয়িং অন বিহাইন্ড দ্য সিন, তা-হলে আমি মনে করি, গণিত ও বিজ্ঞান আমাদের আধুনিক বিশ্বে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাদের এটা শেখা উচিত।’

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন সোবোর্নো। বাঙালি-আমেরিকান বিস্ময়বালক সোবর্নো আইজ্যাক বারী ‘দ্য লাভ’ শীর্ষক একটি বই লিখেছেন। ওই বইয়ে তিনি ধর্মীয় পার্থক্য ও পক্ষপাত থেকে উদ্ভূত কুসংস্কার এবং ঘৃণাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছেন।

সোবোর্নো বারী নোবেল বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থীর কাছ থেকে ‘গ্লোবাল চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড’ও পেয়েছেন। মাত্ৰ চার বছর বয়সে সোবোর্নো গণিত ও বিজ্ঞানে তাঁর কৃতিত্বের জন্য তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালে ছয় বছর বয়সে তিনি সমস্যা সমাধানের ক্ষমতার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বীকৃতি পাওয়ার পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটির প্রতিভাধর কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন।

একজন বিজ্ঞানী হিসেবে ‘চাইল্ড প্রডিজি অ্যাওয়ার্ড’ জেতার পর মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রুইয়া কলেজ তাঁকে একজন বিজ্ঞানী এবং পদার্থবিদ্যার ভিজিটিং অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *