আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারি : আগামীকাল থেকে রাজ্যে শুরু হচ্ছে তিনদিন ব্যাপী খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস, ২০২৩-এর যোগাসন প্রতিযোগিতার আসর। আগরতলার নেতাজী সুভাষ রিজিওন্যাল কোচিং সেন্টারের (এন এস আর সি সি) ইন্ডোর হলে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতার আসর। যা চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ডঃ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী এই সংবাদ জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস হচ্ছে একটি মাল্টি-স্পোর্টস ইভেন্ট যাতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়রা নানা ধরণের ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের চতুর্থ সংস্করণটির আয়োজন করা হবে অষ্টলক্ষী অর্থাৎ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্যে। খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসে অ্যাথলেটিক্স, রাগবি, বাস্কেটবল, ভলিবল, সাঁতার, ব্যাডমিন্টন, হকি, ফেন্সিং, কবাডি, ফুটবল, টেনিস, মালখাম্ব, জুডো, টেবিল টেনিস, বক্সিং, শ্যুটিং, ভারোত্তলন, আর্চারি, রেসলিং, যোগাসন সহ ২০টি ইভেন্টে প্রতিযোগিতা হবে। এই ইভেন্টগুলির মধ্যে বেশির ভাগ ইভেন্টের প্রতিযোগিতা আসামে আয়োজন করা হবে। ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত হবে যোগাসন প্রতিযোগিতার আসর। রাজ্য সরকারের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর এবং ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে ক্রীড়া দপ্তরের সচিব আরও জানান, খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমসের যোগাসন প্রতিযোগিতার আসরে দেশের ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৬০ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করবেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে হরিদ্বারের দেব সংস্কৃতি বিশ্ববিদ্যালয়, অন্ধ্রপ্রদেশের রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড় সহ সাপোর্টিং স্টাফ, টেকনিশিয়াল স্টাফ, কম্পিটিশান ম্যানেজার, সাধারণ স্বেচ্ছা সেবক, স্পোর্টস স্বেচ্ছা সেবক সহ প্রায় ৩২৬ জন এই প্রতিযোগিতায় যুক্ত থাকবেন। প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী খেলোয়াড়দের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে ত্রিপুরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের গেস্ট হাউজে এবং অফিসিয়ালদের রাখা হবে হোটেল পোলো টাওয়ারে।
সচিব জানান, খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির যোগাসন প্রতিযোগিতা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ক্রীড়াদপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রতিযোগিতাকে সর্বাত্মক সফলভাবে আয়োজন করার মাধ্যমে রাজ্যের সুনাম আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন ক্রীড়া সচিব। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তর অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ উপস্থিত ছিলেন।