কলকাতা, ১৬ ফেব্রুয়ারি (হি. স.) : ”আরএসএস গোটা পৃথিবীতে আছে। আর তা নেগেটিভ নয়, পজিটিভ ফোর্স। একটা দেশ গঠনে আরএসএসের বড় ভূমিকা রয়েছে।” ওই এলাকায় আরএসএসের বাসা আছে – সন্দেশখালিতে অশান্তির নেপথ্যে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বিরোধিতায় শুক্রবার বিজেপির তারকা নেতা মিঠুন চক্রবর্তী একথা বললেন।
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এদিন মুখ খুললেন মিঠুন চক্রবর্তী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, ”সন্দেশখালিতে সত্যের বিস্ফোরণ ঘটছে। তা থামানো যাবে তো? সেখানে তো মহিলারাই সরব হচ্ছেন, প্রতিবাদ করছেন। এই সমবেত আওয়াজ যেন না থামে।” উত্তপ্ত সন্দেশখালিতে গিয়ে বারবারই বাধা পাচ্ছে বিজেপি প্রতিনিধিদল। শুক্রবারও জে পি নাড্ডার তৈরি টিমের সদস্যরাও সেখানে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। ১৪৪ ধারা জারি থাকায় আইন মেনেই সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন মহিলা মন্ত্রী, সাংসদরা। কিন্তু তাও যেতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ পুলিশের।
এনিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, ”বাধা না দিলে তো সত্যিটা বেরিয়ে আসবে। তাই বারবার বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেখুন, শাহজাহান ভালো না খারাপ, সেটা তো বিচার সাপেক্ষ। কিন্তু এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতি ওখানকার, তা ভয়াবহ। এভাবে কি সত্যি চাপা দেওয়া যাবে? আটকাতে পারবেন এই সত্যের বিস্ফোরণ?” এনিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি-সহ ৩ আইপিএস অফিসারকে তলব করেছে সংসদীয় কমিটি। সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে মিঠুনবাবুর প্রতিক্রিয়া, ”সেখানে গেলেই সত্যি কথা বলতে পারবেন তাঁরা। নইলে বাইরে কথা বললে অনেকের মনে হবে, বানিয়ে বলছেন।”
এদিন কলকাতার নামী হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন মহাগুরু। তার পর বেরিয়ে তিনি বলেন, ”সুকান্ত বারবার সন্দেশখালির কথা বলছে, ওখানে যেতে চাইছে। আমি ওকে বলেছি, আগে সুস্থ হতে হবে।” তিনি নিজেও সন্দেশখালি যেতে চান, কিন্তু তাঁকে বারণ করা হচ্ছে বলে জানালেন। মিঠুনবাবুর মন্তব্য, আমি ওখানে গেলে গোলমাল হবে। আর এখন গোলমাল করার সময় নয়।”