ত্রিপুরা-১৪৯
রেলওয়ে-৭২/৭
ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ ফেব্রুয়ারি।। বোলারদের হাত ধরে লড়াইয়ে ফিরলো ত্রিপুরা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ঘরের মাঠে শুরু থেকেই খাদের কিনারায় ছিলো রাজ্যদল। দিনের শেষ বেলায় বোলারদের হাত ধরেই আবার ম্যাচে জাকিয়ে বসেছে ঋদ্ধিমান সাহা-র ছেলেরা। প্রথম দিনেই পতন হলো ১৭ উইকেটের। ম্যাচের যা গতি প্রকৃতি তাতে নিশ্চিত মিমাংশা হবে মরশুমের শেষ ম্যাচটির। ফলে ত্রিপুরার লক্ষ্য থাকবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সফররত দলের শেষ ৩ টি উইকেট দ্রুত তুলে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বড় স্কোর গড়ে সরাসরি জয়ের দিকে যাওয়া। রণজি ট্রফি ক্রিকেটে। এম বি বি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ত্রিপুরার গড়া ১৪৯ রানের জবাবে প্রথম দিনের শেষে রেলওয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান করে। রাজ্যদলের পক্ষে শ্রীদাম পাল ৭১ রান করেন। এদিন সকালে রেলওয়ের অধিনায়ক টসে জয়লাভ করে ত্রিপুরাকে প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান। দিনের শুরুতেই বাবুল দে (০)কে হারানোর পর ওপেনার বিক্রম কুমার দাসের সঙ্গে রুখে দাঁড়ান শ্রীদাম পাল। ওই জুটি কড়া প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন ১০০ বল খেলে ৫৬ রান যোগ করেন। বিক্রম ৪৪ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ রান করে আউট হবার পর থেকে কালো মেঘে ঢেকে যায় ত্রিপুরার শিবির। শুরু হয় ক্রমাগত উইকেট হারানো। চাপের মুখে ‘বুধির দূর্গে একা কুম্ভ’ হয়ে লড়াই করেন শ্রীদাম। রাজ্যদলের হয়ে ৩ নম্বের ব্যাট করতে নামা শ্রীদাম ১২৪ বল খেলে ১১ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭১ রান করেন। শেষ দিকে অভিজিৎ সরকার ১৩ বল খেলে ১ টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ১২ রান করেন। ত্রিপুরা ৫২.১ ওভারে ১৪৯ রান করে। সফররত দলের পক্ষে যুবরাজ ৫৩ রানে ৪টি, হিমাংশু সাংওয়ান ৪৯ রানে ৩ টি এবং আকাশ পান্ডে ১৫ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন। ত্রিপুরাকে অল্প রানে আটকে দিয়ে সুখে নেই সফররত দলও। ত্রিপুরার বোলারদের সাড়াশি আক্রমণে প্রথম দিনের শেষে ২৬ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান করে। অরিন্দম ঘোষ যদি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারতেন তাহলে হয়তোবা এদিনই রেলওয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যেতো। অরিন্দম ৬৬ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে যান। এছাড়া দেলর পক্ষে প্রথম সিং ২৪ বল খেলে ৪ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ রান করেন। ত্রিপুরার পক্ষে মণিশঙ্কর মুড়াসিং ১৮ রানে ৩ টি এবং বিক্রম দেবনাথ ৬ রানে ২ টি উইকেট দখল করেন।