BRAKING NEWS

বাগদেবীর আরাধনায় ব্রতী হচ্ছেন ছাত্রছাত্রীরা, কৈলাসহরে বিভিন্ন বাজারে ভিড়

কৈলাসহর, ,১২ ফেব্রুয়ারি: বুধবার সরস্বতী পূজা। সরস্বতী পূজাকে কেন্দ্র করে সর্বত্র প্রস্তুতি তুঙ্গে, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। স্কুল কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বাড়ি ঘরেও সরস্বতী পূজার প্রস্তুতিপর্ব প্রায় শেষের পথে। মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা নিয়ে বাজারে হাজির। মূর্তি পাড়ায় মূর্তি আনতে ছাত্র-ছাত্রীসহ অন্যান্যদের ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাজারহাটে পূজার সামগ্রী কিনতে ব্যাপক ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। সাধারণভাবে মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বাগদেবীর আরাধনা করা হয়।

অন্যদিকে উৎসব প্রিয় বাঙালীর শীতের শেষ উৎসব হচ্ছে এই সরস্বতী পূজা। সরস্বতীকে বলা হয় জ্ঞানের ও শিল্পীর দেবী। জ্ঞানের দেবীর কাছে ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্বাস এই জায়গায় যে, উনার কৃপাতেই জীবনে বিদ্যার আগমন ঘটে।

বাগদেবীর আরাধনাকে আজ থেকেই ঊনকোটি ও উত্তরের বাজারগুলিতে ভিড় লক্ষ্য করা গেল। ঊনকোটির জেলাসদর কৈলাসহরের মূল বাজার, পানিচৌকী বাজারে আজ দুপুরবেলা থেকেই বিভিন্ন স্কুলের দিদিমণিদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বাজার করতে দেখা গেছে।

আগেই যেহেতু মূর্তি পাড়ায় প্রতিমার বায়না দেওয়া হয়ে গেছে, সেহেতু অনেকেই চাইছেন এই সময়ের মধ্যে বাকি কাজটুকু সেরে রাখতে। কাপড়ের দোকান, প্রতিমার জন্য কাগজের মালা, ফলের দোকান, মাটির ঘট, মাটির সরা ইত্যাদি কেনার বেশ ভিড় দেখা গেল বাজারে।

কৈলাসহর বাজারে আপেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে, আঙ্গুর ১০০ টাকা কেজি, কুল বড়ই ৭০ টাকা কেজি দরে। ইতিউতি ভিড় দেখা গেল মুদির দোকানেও। সরস্বতী পূজায় মুড়ি, খৈ, চিড়ার অন্যতম চাহিদা থাকে ।কৈলাসহরে মূলতঃ মুড়ি,খৈ,চিড়া ইত্যাদি মনিপুরী সম্প্রদায়ের মহিলারা বাজারের দুর্গা মন্ডপ সংলগ্ন স্থানে বিক্রি করে থাকেন।

সেখানেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের কথাবার্তা শোনা গেল। প্রকৃতপক্ষে বাগদেবী অনেকের বাড়ি ঘরে পূজিত হলেও স্কুলের, কলেজের, গান বাজনার স্কুলের, আর্টের স্কুলের পূজাতেই সরগরম হয়ে ওঠে নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকা এদিককার বাজারগুলি। দেখা গেল, বাজারে জিলিপি, নকুল দানা, কাটাগজা, কুচোনিমকি তৈরি করা ময়রাদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। বড় বড় ভিয়ানে এইসব প্রস্তুত হচ্ছে।

আগামীকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে মূর্তিপাড়া থেকে স্কুলগুলিতে প্রতিমা নিয়ে আসা। এখন তাই মূর্তিপাড়ায় দম ফেলারও ফুসরৎ নেই। এই বাসন্তী পঞ্চমীতে বাজারে যেমন তাৎক্ষণিকভাবে ভিড় বেড়ে যায়, তেমনি প্রকৃতিও জানান দেয় বসন্তকাল সমাগত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *