নিজস্ব প্রতিনিধি, বিলোনীয়া, ১১ ফেব্রুয়ারী:
দশের কেন্দ্রীয় সরকারের একের পর এক জন বিরোধী সিদ্ধান্ত, শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বার্থ পরিপন্থী সার্কুলার জারি করার বিরুদ্ধে এইবার সরাসরি ধর্মঘট করার ঘোষণা দিলেন সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারী কর্মচারী মহাসংঘ। ১৬ ফেব্রুয়ারী, সারা দেশে হবে এই ধর্মঘট। এন পি সি তুলে দিয়ে পুরানো ডিফাইন্ড বেনিফিট পেনশন চালু করা, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ, কর্পোরাইটেজেশান বন্ধ করা, সরকারি দপ্তরে ডাউন সাইজিং বন্ধ করা, অবিলম্বে সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করা, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল করা, দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি রোধ করা সহ- মোট ৭ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন সর্বভারতীয় রাজ্য সরকারী কর্মচারী মহাসংঘ (AISGEF)এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটি (এইচ.বি.রোড) ।
তারই অঙ্গ হিসেবে রবিবার যৌথ সাংগঠনিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত করলো টিইসিসি(এইচ.বি.রোড) বিলোনীয়া ও শান্তিরবাজার বিভাগীয় কমিটি। এইদিন সকাল সাড়ে এগারোটায় বিলোনিয়ার কর্মচারী সমন্বয় কমিটির অফিসে হয় এই সভা, মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রিপুরা কর্মচারী সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান রঞ্জিত রুদ্রপাল। তিনি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করেন। সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে কিভাবে বিজেপি সরকার মানুষকে শোষন করছে।
তার ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, মোদির নেতৃত্বে সরকার সংসদে আলোচনা না করেই জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২৪ লাঘু করেছেন। ডিফাইন পেনশন স্কীম তুলে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে। জিনিস পত্রের দাম আকাশ ছোয়া,ঔষধের দাম বেড়েছে ৪৩ শতাংশ।
মানুষ কথা বলতে পারছে না, ধর্মের নামে চলছে বিভাজনের রাজনীতি, ২০২৪ সালে এই বিজেপি পুনরায় ক্ষমতায় আসলে ভারতের সংবিধান পাল্টে দিতে পারে বলেও আশংকা প্রকাশ করেন সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান । আর তাই আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারী দেশব্যাপী ধর্মঘট খুবই জরুরি বলে জানান তিনি। ত্রিপুরাতেও এই ধর্মঘট যাতে সফল হয় তার জন্য সকলের সমর্থন চাইলেন কনভেনশনের সকল বক্তাগণ।
এইদিনের কনভেশনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিলোনীয়া বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক ধীমান চক্রবর্তী, ও শান্তিরবাজার বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক চন্ডিদাতা জমাতিয়া।উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক নেতা জীবন শীল, বিপ্লব ভুইয়া, টিইসিসি(এইচ.বি.রোড) শান্তিরবাজার বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সহ অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীগণ।