কলকাতা, ৯ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : পুলিশি হেফাজতে কীভাবে অভিযুক্তের মৃত্যু হল? শুক্রবার একটি মামলার শুনানিতে এই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
আদালত সূত্রের খবর, পুলিশের জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। পরিষ্কারভাবে তিনি জানান, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আদালত খুশি নয়। এরপরই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার অন্তর্গত একটি সেনা শিবিরে মজুরের কাজ করতেন এক ব্যক্তি। ওই শিবির থেকে চুরির অপবাদে পুলিশ তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে যায়। অভিযোগ, এরপর পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
ছেলের মৃত্যুর ঘটনার সুবিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃত ব্যক্তির বাবা ষষ্ঠীচরণ ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ মিথ্যে অপবাদে তাঁর ছেলেকে পিটিয়ে মেরেছে। ওই মামলায় আদালতে জমা দেওয়া প্রাথমিক রিপোর্টে পুলিশ জানায়, হেফাজতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি।
এদিন বিচারপতি পুলিশের কাছে জানতে চান, পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন কীভাবে আত্মহত্যা করেন ওই ব্যক্তি? সূত্রের খবর, বিচারপতির এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। এরপরই পুলিশি তদন্ত নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, থানার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিল আদালত। এদিন সেটাও জমা দেয়নি পুলিশ।পুলিশের বক্তব্য, ওই সিসিটিভি ফুটেজ ভোপালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এরপরই পুলিশকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

