হুগলি, ৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): হুগলিতে ভুল ঠিকানায় পৌঁছে বিপত্তি ইডির। সোমবার সকালে চুঁচুড়া ময়নাডাঙ্গ ব্যবসায়ী সন্দীপ কুমার সাধুখাঁর বাড়িতে কনভয় নিয়ে হাজির হয় ইডির আধিকারিকরা। দরজায় কড়া নেড়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে সন্দীপের পরিবার। একপ্রকার জোর করেই ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন তারা। সবে ঘুম থেকে উঠে ব্যবসায়ী বেরোনোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়ই তার বাড়িতে হাজির হয় ইডি আধিকারিকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই রীতিমতো হতচিকিত হয়ে পড়েন তারা। তল্লাশির প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন। এর পরে মেমো নম্বরে সই করাতে যাওয়ার সময় সন্দীপবাবু দেখেন সন্দীপ বাবুর নাম ঠিক থাকলেও তার বাবার নামের স্পেলিং ভুল ছিল। তার সঙ্গে চুঁচুড়া পুলিশ স্টেশনের উল্লেখ ছিল না।
সেই নিয়েই প্রশ্ন তোলেন সন্দীপবাবুর ছেলে শুভদীপ সাধুখাঁ। তিনি দাবি করেন আমি কেন সই করব নাম ঠিক থাকলেও থানা ও বাবার নামে স্পেলিং ভুল রয়েছে। এরপরে ইডি আধিকারিকরা সন্দীপবাবুর ভোটার ও আধার কার্ড দেখাতে বলেন। তারপরেই সন্দেহের নিষ্পত্তি হয়। সন্দীপ দাবি করে, ইডি আধিকারিকরা ভুল হয়েছে বলেই তারপর তারা প্রায় এক ঘন্টা পর আমাদের বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান। যদিও তারা এ বিষয়ে আতঙ্কিত। ইডি আধিকারিকরা আশায় শুরু হয় প্রতিবেশীদের মধ্যে গুঞ্জন।
সূত্রের খবর, সন্দীপবাবুর লজেন্সের ব্যবসা রয়েছে। পোলবা থানা এলাকার মহেশপুরে রয়েছে তার কারখানা। সন্দীপবাবু দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ কলকাতায় চিকিৎসা চলছে তার। এ প্রসঙ্গে সন্দীপবাবুর ছেলে শুভদীপ জানান, সকালে ইডি আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু তারা যে নাম দেখান তাদের সঙ্গে আমাদের নামের কোন স্পেলিং মিল ছিল না । আমাদের প্রচন্ড হেনস্থা হতে হয়েছে। এতে আমাদের মানসম্মানে হানি হয়েছে। ইডির মতো এত বড় কেন্দ্রীয় সংস্থা ভুল ইনফরমেশনে কিভাবে আসে সেটা বুঝতে পারছি না। যখন তারা ওয়ারেন্ট সই করার জন্য বলেছিলেন তখন আমাকে সেই কপি পড়তেও দেওয়া হচ্ছিল না। এক প্রকার জোর করার চেষ্টা করছিলেন তারা। আমি যখন জানতে চাই বারবার তখন আমার সাথে তারা বেশি কথা বলতে চাইছিল না। ইডি যা করছে তাতে এক প্রকার ভদ্র মানুষকে অসম্মান করা হচ্ছে।

