শক্তি বৃদ্ধি পেল ভারতের, নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল আইএনএস সন্ধ্যায়ক

নয়াদিল্লি, ৩ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): আরও শক্তি বাড়ল ভারতীয় নৌবাহিনীর। শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল আইএনএস সন্ধ্যায়ক। এদিন সকালে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমের নৌ ডকইয়ার্ডে আইএনএস সন্ধ্যায়ক-কে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এবং অন্যান্য বিশিষ্ট অতিথিরা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে এদিন সকালে বিশাখাপত্তনমের নৌ ডকইয়ার্ডে গার্ড অফ অনারে অভিবাদন জানানো হয়। এরপরই আইএনএস সন্ধ্যায়ক-কে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন তিনি। নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার এদিন বলেছেন, “বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা ও কাজ করার এই নমনীয়তাকে কাজে লাগানোর জন্য, নৌবাহিনী গত এক দশকে দেশীয়ভাবে অত্যাধুনিক প্লাটফর্মের সমান বৈচিত্র্যময় পরিসর চালু করেছে। শক্তিশালী বিমানবাহী রণতরী বিক্রান্ত হোক, বিশাখাপত্তনম শ্রেণীর মারাত্মক ধ্বংসকারী, বহুমুখী শ্রেণীর ফ্রিগেট, স্টিলথি কালভারী শ্রেণীর সাবমেরিন বা বিশেষায়িত ডাইভিং সাপোর্ট ভেসেল, আমরা সতর্কতার সঙ্গে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ”আত্মনির্ভর বাহিনী” তৈরি করছি। প্রকৃতপক্ষে, গত দশ বছরে যে তিনটি উপাসনা এবং সাবমেরিন চালু করা হয়েছে তার সবই ভারতে নির্মিত এবং সন্ধ্যায়ক ভারতে নির্মিত হওয়া ৩৪-তম যুদ্ধজাহাজ।”

এই রণতরীটি কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স তৈরি করেছে। রণতরীটিতে ৮০ শতাংশের বেশি স্বদেশী সামগ্রী রয়েছে, যা যুদ্ধজাহাজ নির্মাণে ভারতের দক্ষতাকে পুনর্ব্যক্ত করে। এই যুদ্ধজাহাজ ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলে নৌবাহিনীর শক্তি আরও বাড়বে। ভারতীয় নৌবাহিনীতে আইএনএস সন্ধ্যায়ক নামে একটি জাহাজ ছিল। সেটিও ”সার্ভে ভেসেল” ছিল। ১৯৮১ সালে ভারতীয় নৌবাহিনীতে সেটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। আর ২০২১ সালে ”অবসরগ্রহণ” করেছিল। এবার ১১০ মিটার দীর্ঘ এই রণতরী ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। সমুদ্রের তলায় বিভিন্নরকমের সমীক্ষা চালাতে পারবে ‘আইএনএস সন্ধ্যায়ক’। জাহাজ কোন পথ ধরে এগিয়ে যেতে পারে, সেটাও খুঁজে বের করতে পারবে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সমুদ্র এবং ভৌগোলিক বিভিন্ন তথ্য বের করতে সক্ষম সন্ধ্যায়ক শ্রেণির জাহাজ। তার ফলে ভারতীয় নৌসেনার হাত মজবুত হবে।