“এই কারণেই তো একা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি“, ন্যায় যাত্রায় সেলিমের সামিলে মমতা

কলকাতা, ১ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : “এই কারণেই তো একা চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কংগ্রেস-সিপিএমের জোট হয়েছে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে“। বৃহস্পতিবার নদিয়ায় দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ কথা বলেন।

মুর্শিদাবাদে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রায় সামিল হয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সিপিএমের যুব নেতা শতরূপ ঘোষও। মুর্শিদাবাদের এই ছবিটা যখন লোকসভা ভোটের আগে অর্থবহ হয়ে উঠেছে, তখন পাশের জেলা থেকে তোপ দাগলেন মমতা।

বুধবার মালদার সভায় মমতা বলেছিলেন, ”সিপিএম হল বিজেপির এক নম্বরের দালাল”। মমতা এও বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁদের বোঝাপড়া ভাল ছিল, কিন্তু তা খারাপ করেছে সিপিএম। বৃহস্পতিবার মমতা দাবি করলেন, বিজেপিকে সাহায্যের জন্য জোট করেছে দুই দল।

উনিশের লোকসভা ভোটের আগে বাংলায় ৪২টি আসনের মধ্যে ৪২টিই জেতার কথা বলেছিলেন মমতা। শেষমেশ তৃণমূল জিতেছিল মাত্র ২২টি আসন। এদিন তিনি বলেন,“লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূল জিতবে, বাংলা দেশকে পথ দেখাবে”। কটি আসন জিতবে তা অবশ্য ব্যাখ্যা করেননি দিদি। তবে এ কথা বলার পরই কংগ্রেসের সঙ্গে মমতা জোট ভেস্তে যাওয়ার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করেন।

মালদা ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস এবং বামেদের একটা চিরাচরিত ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ভোট বহুদিন ধরে জোড়াফুলের দিকে টানার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাহুলের নাম না করে এদিনও তিনি বলেন, “আপনি কাকে বাছবেন? যারা ৩৬৫ দিন আপনার সঙ্গে আছে, নাকি তাদের যারা শুধু ভোটের আগে বসন্তের কোকিলের মতো আসে, কুহু কুহু ডাকে। আবার পালিয়ে যায়?”

পশ্চিমবঙ্গে রাহুলের যাত্রা চলার মধ্যে কংগ্রেস মমতার এই কথার কোনও জবাব দেবে না বলেই ঠিক করে রেখেছে। তবে রাহুলের যাত্রা শেষ হলে অধীর চৌধুরীদের আগের মূর্তিতে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা না হলে কংগ্রেস যে সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা করতে পারে সেই ছবিটাও এদিন মুর্শিদাবাদে পরিষ্কার হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।