কলকাতা, ২৭ জানুয়ারি (হি.স.) : আইএনডিআই জোটের আসন সমঝোতা নয়, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ কংগ্রেস সভাপতি। শনিবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একটি চিঠি দেন তিনি।
বর্তমানে বাংলায় ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলছে। যদিও প্রথম দিনই কোচবিহারে প্রবেশ করার পর জরুরি কাজে দিল্লি বেরিয়ে যান রাহুল গান্ধী। তবে নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী, এ রাজ্যের বেশ কিছু জেলার উপর দিয়ে রাহুলের এই যাত্রা চলবে।
খাড়গে মমতার উদ্দেশে চিঠিতে লেখেন, ‘দেশকে ন্যায়ের পথে পরিচালনা করতে, দেশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এবং দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার সূচনা করেছে কংগ্রেস। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের পর মণিপুর থেকে মহারাষ্ট্র পর্যন্ত এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গাঁধী। ধর্ম, ধর্মবিশ্বাস এবং জাতপাতের নামে বিজেপি দেশে যে বিভাজন ঘটিয়েছে, তার বিরুদ্ধে বৃহত্তর উদ্দেশ্য নিয়ে এই যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল।
দেশের দুর্বল শ্রেণির মানুষকে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক ন্যায়প্রদানের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। যে কারণে এই যাত্রা আগাগোড়া অরাজনৈতিক থেকেছে এবং বিভিন্ন শ্রেণির কোটি কোটি উদারপন্থী মানুষ এই যাত্রায় যোগদান করেছেন, যাঁরা উন্নত, শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ দেশ দেখতে চান’।
মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায়, ‘আমার কাছে খবর রয়েছে, যাত্রায় বাধা সৃষ্টি করতে পার কিছু দুষ্কৃতী। জানি না এটা পশ্চিমবঙ্গের সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কি না। তবে আমার অনুরোধ আগামী কয়েকদিনের এই ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা রুটের পর্যাপ্ত নির্দেশিকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হোক। একই সঙ্গে যাত্রায় চলাকালীন কোনওভাবে অংশগ্রহণকারী এবং রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় বন্দোবস্ত করুন আপনি।’
চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খাড়গে লেখেন, ‘আমি জানি গান্ধী পরিবারের সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত স্তরে ভালো সম্পর্ক। তাই আপনি নিজেই চাইবেন আপনার রাজ্যে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা যাতে কোনও বাধার সম্মুখীন না হয়। সে কারণেই আমি নিজে আপনার কাছে এই অনুরোধটি রাখলাম।’
উল্লেখ্য, অসমে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার উপর একাধিকবার হামলার খবর এসেছিল। কংগ্রেস নেতৃত্বর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার প্ররোচনায় কংগ্রেসের যাত্রায় হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। রাহুল গান্ধীকে বাধার মুখে পড়তে হয় সেখানে। প্রতিবেশি রাজ্যে এই ধরণের বিপত্তি যেন পশ্চিমবঙ্গে না ঘটে তা উল্লেখ করে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করতে আর্জি জানিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।