আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি: বিদ্যুৎ চুরি শুধু আইনের চোখে অপরাধ মাত্রই নয়, বিদ্যুৎ চুরি করতে গিয়ে বিপন্ন হতে পারে জীবন। এ রাজ্যে ইতিপূর্বে বিভিন্ন জায়গাতেই হুক লাইনের ছোবলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। অথচ হুক লাইনে বিদ্যুৎ চুরির প্রবণতা থেমে নেই।
আইনগতভাবে অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে, অন্যদিকে নিজের জীবনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিদ্যুৎ চুরি চলছে। তবে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম আপামর জনসাধারণকে এ বিষয়ে সচেতন করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ চুরি বন্ধে আকস্মিক অভিযান এবং জরিমানাও করে চলেছে। জনসাধারণকে সচেতন করার পাশাপাশি কিছুটা জরিমানা করে আগামী দিনে যাতে বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করা যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে এগিয়ে চলেছে।
গত বছরের (২০২৩) এপ্রিল মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের ভিজিলেন্স দল মোট ৪৯৭ টি অভিযানে ২৬২৪ টি হুকলাইন ছিন্ন করেছে। ২৫০৮টি মিটার পরীক্ষা করার পর ৪৪৫টি মিটারে অনিয়ম ধরা পড়েছে। হুকলাইন এবং মিটারে অনিয়ম করার ঘটনার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম আধিকারিক এবং সকল স্তরের কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়ে ভিজিলেন্স দল মোট ১ কোটি ৭৩ লক্ষ ৬২ হাজার ২৫৫ টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এরমধ্যে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৭১ হাজার ৯৪৪ টাকা আদায় হয়েছে।
৪৯৭ টি অভিযানে ২৬২৪টি হুক লাইন ছিন্ন করা এবং ৪৪৫টি মিটারে অনিয়ম ধরা পড়ার পরেও বিদ্যুৎ নিগমের ভিসিলেন্স দল আইন ভঙ্গকারীদের শুধুমাত্র জরিমানা আদায় করেই আগামী দিনে যেন এই অপরাধ আর না ঘটিয়ে থাকেন, সেজন্য তাদের মুচলেখা আদায় করেছে।
রাজ্যের প্রত্যেকটি বিদ্যুৎ সাব ডিভিশনেই এই অভিযান সম্পন্ন করা হয়েছে। আগামী দিনে এই অভিযান আরো তীব্রতর করা হবে। কারণ এই বিদ্যুৎ চুরির কারণে সাধারণ ভোক্তাদের যারা নিয়মিতভাবে বিদ্যুতের বিল প্রদান করছেন, তাদেরকেও অনাকাক্ষিতভাবে বৈদ্যুতিক ঝঞ্ঝাটের শিকার হতে হচ্ছে।