সর্বস্তরে চুরি করেছে তৃণমূল’, তোপ শুভেন্দুর

কলকাতা, ১৯ জানুয়ারি (হি.স.) : কয়েকদিন আগেই, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে নিশানা করে বলেছিলেন, ‘ওরা সবচেয়ে বড় চোর।’ আর শুক্রবার মেখলিগঞ্জের সভা থেকে পাল্টা আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘সর্বস্তরে চুরি করেছে তৃণমূল।’

মূলত লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে একের পর এক দুর্নীতিতে শ্রীঘরে শাসকদলের কিছু ওজনদার নেতা। এর অন্যতম কারণ দুর্নীতি। পাশাপাশি দুর্নীতি-র একাধিক মামলায় সক্রিয় তদন্তে রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এহেনও পরিস্থিতিতে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস, বাংলায় সবক্ষেত্রে দুর্নীতি। আবাসের টাকা লুঠ করেছে তৃণমূল, সব হিসেব হবে। এই চোর তৃণমূলকে তাড়াতে হবে, হুঙ্কার শুভেন্দুর।

শুভেন্দুবাবুর দাবি, উত্তরবঙ্গকে ঘৃণা করেন মমতা, রাজ্যের বঞ্চনার শিকার উত্তরবঙ্গ।পশ্চিমবঙ্গকে শেষ করে দিচ্ছে তৃণমূল সরকার। রাজ্যজুড়ে চাকরি লুঠ করেছে তৃণমূল সরকার।’

কয়েকদিন আগেই, তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমি জানি বিজেপি সব জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে, চোর-চোর-চোর। ওরা সব থেকে বড় চোর। লোকে বলছে অলি-গলিমে শোর হ্যায়, বিজেপি-কা সব চোর হ্যায়। বড় বড় ডাকাত, বড় বড় গুন্ডা, বড়বড় ক্রিমিন্যাল এজেন্সিদের প্রোটেকশনে আছে।এজেন্সিরা আজ বাঁচাচ্ছে। ওদের বাড়িগুলিতে অভিযান চালালে দেখবেন, তৃণমূল কংগ্রেস যা করেছে… বলে একটু থামেন। তারপর নিজের হাত তুলে বলেন, দেখুন আমার ৫ টা আঙুলের মধ্যে একটা আঙুল আমার কেটে যেতে পারে।একটা ছোট্ট ঘটনার জন্য নিশ্চয়ই সবাই খারাপ নয়। আজ পর্যন্ত কেউ যদি আমায় বলেন, আমি চা খেয়ে পয়সা দিইনি, আমি ছেড়ে দেব। আমি যেদিন থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি, এক পয়সাও মায়না নিই না। ‘

প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটের আগে, শাসক ও বিরোধীদল, প্রত্যেকেই প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চোর অপবাদ দেওয়া ক্রমশ বাড়িয়ে তুলেছে। শুভেন্দু-সুকান্তরা যখন ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ স্লোগানে ব্যস্ত, ঠিক তখনই কেন শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না ? কেন বিরোধী দলনেতার বাড়িতে হানা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? ‘বার্ণল নিয়ে বসুন’, বলে সোশ্যালে ভিডিও পোস্ট করেও তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদককে। তবে শুধু বিজেপিকেই নয়, তৎকালীন বামফ্রণ্ট সরকারকেও ‘চিরকুটে চাকরি’ বলে নিশানা করেছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।