২০৮ মিটার লম্বা সেতুর কাজ প্রায় শেষ, উপকৃত হবেন উত্তর ও উনকোটি জেলার সাধারন মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ১৬ জানুয়ারি : রাজন্য আমল থেকে গণতান্ত্রিক আমলে পরিবর্তিত ত্রিপুরার প্রভূত উন্নতি সাধন হলেও কৈলাসহরের দুর্ভেদ্যতা কিছুটা থেকে যায়। সেই সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি সোনামারা- ছনতৈল পাকা সেতু নির্মাণের দাবিতে সরব হয়েছিল। আন্দোলনে গতি আনে কৈলাসহর উন্নয়ন মঞ্চ। বামফ্রন্ট আমলের শেষের দিকে এই পাকা সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।

ইতিমধ্যে, কৈলাসহর পুর পরিষদের অন্তর্গত সোনামারা ও চন্ডিপুর বিধানসভার অন্তর্গত ছনতৈলের মধ্যবর্তী দিয়ে বয়ে যাওয়া মনু নদীতে লক্ষ গ্যালন জল প্রবাহিত হয়। রাজনৈতিক পরিবর্তনে বিজেপি শাসিত সরকার রাস্তাঘাট উন্নয়নে প্রাধান্য দিলে, নির্মীয়মান সেতুর কাজে কিছুটা গতি আসে।

বর্তমানে, ২০৮ মিটার লম্বা এই সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মধ্যবর্তী প্রায় ৩০ মিটার জায়গা ঢালাই করার বাকি । তারপরেই খুলে যাবে বিস্তীর্ণ চন্ডিপুর অঞ্চল, হাওর অঞ্চলের দুধ ব্যবসায়ী, সব্জি ব্যবসায়ীদের শহরের আসার সংক্ষিপ্ত রাস্তা। বর্তমানে এইসব এলাকার মানুষেরা কামরাঙা ব্রিজ ঘুরে জেলাসদর কৈলাসহরে আসতে হচ্ছে ।

এই পাকা সেতু চালু হয়ে গেলে শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষেরাও চটজলদি ছনতৈল দিয়ে আগরতলা অভিমুখে চলে যাওয়া হাইওয়েতে সরাসরি চলে যেতে পারবেন- যা কিনা সময় বাঁচাবে আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ মিনিট। বর্তমানে নির্মীয়মান “২০৮-এ” বিকল্প জাতীয় সড়ক পথ দিয়ে তিন ঘন্টায় আগরতলায় পৌঁছানো যাচ্ছে । এই পাকা সেতু চালু হয়ে গেলে সমগ্র ঊনকোটি, উত্তর, আসামের গাড়িগুলি আড়াই ঘন্টায় আগরতলায় পৌঁছে যাবে।

২০১৮ সালের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি ত্রিপুরাকে হীরা দেবেন। হীরা মানে, হাইওয়ে- রেলওয়ে – এয়ারওয়ে। কৈলাসহরে এয়ারওয়ে চালু করা নিয়ে বর্তমান সরকারের দোদুল্যমান অবস্থানের কারণে আমজনতার মধ্যে ক্ষোভ  ধুমায়িত হলেও, হাইওয়ে কৈলাসহরের বিশাল প্রাপ্তি। আর এই সোনামারা- ছনতৈল পাকা সেতু শহরকে সরাসরি হাইওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছে। বাস্তবিকই, কৈলাসহরের মানুষ প্রহর গুনছে এই সেতু চালু হওয়ার জন্য।