নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১২ জানুয়ারি : ১২ জানুয়ারি শুক্রবার স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১তম জন্মদিন উপলক্ষে ধর্মনগরে সকাল থেকে সারাদিনব্যাপী একের পর এক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মূল অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তর এবং ধর্মনগর পুরপরিষদের উদ্যোগে ধর্মনগরের বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, তাছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ, পুরো পরিষদের চেয়ারম্যান প্রদ্যুৎ দে সরকার ভাইস চেয়ারপারসন মঞ্জু নাথ, ধর্মনগরের মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামজয় জমাতিয়া, জেলা শিক্ষা আধিকারিক সমীর রঞ্জন নাথ, বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্যামল নাথ সহ ধর্মনগরের বিশিষ্টজনেরা।
সভার উদ্বোধন করে উদ্বোধক বিশ্ববন্ধু সেন স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা রাখেন এবং তা থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষিত জিনিসগুলি তুলে ধরেন। কেন তদানীন্তন ব্রাহ্মণ সমাজে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মত গুরুদেব এমন একজনকে প্রধান শীষ্য হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন যে ব্রাহ্মণ্য নয়।
স্বামী বিবেকানন্দ কিভাবে সারা পৃথিবীতে হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে ভারতবর্ষের মুখ জ্বলজ্বল করে ফুটিয়ে তুলেছিলেন তা স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতা কয়েকটি ছোট ছোট অংশ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরেন।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে স্বামী বিবেকানন্দের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশ তথা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আজ যারা যুবক অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রী তাদেরকে বিশেষভাবে স্বামী বিবেকানন্দের মতাদর্শে দীক্ষিত হয়ে কাজ করার উপদেশ দেন।
স্বামী বিবেকানন্দের কথা বলতে গিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং সর্দার ভগৎ সিং এর আত্ম বলিদান এর কাহিনী তুলে ধরেন। এই অনুষ্ঠান ছাড়াও সকালে জেলাশাসক অফিস প্রাঙ্গনে স্বামী বিবেকানন্দের যে র্মমরমূর্তি রয়েছে তাতে রামকৃষ্ণ সেবা সমিতির পক্ষ থেকে মাল্যদান করা হয়েছে।

