নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১১ জানুয়ারি: বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মায়েদের এবং গুরুকুলের শিশুদের সাথে একান্ত আপন হয়ে জন্মদিন পালন। গতানুগতিক পাশ্চাত্য রীতিনীতির বাইরে বৈদিক ও সনাতনী ভারতীয় আদর্শকে সামনে রেখে জন্মদিন পালনের বিরল ঘটনা প্রত্যক্ষ করল ধর্মনগরের একটি পরিবার।
যখন পাশ্চাত্য রীতি-নীতির কড়াল আঘাতে ভারতীয় সংস্কৃতি ভূপাতিত তখন পুনরায় ভারতীয় বৈদিক সনাতনী ধর্মকে প্রতিষ্ঠা দিতে একটি অংশ কাজ করে চলেছে। ধর্মনগরের প্রান্তিক বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধ মায়েদের জেলরোডস্থিত পলাশ সেনের বাসভবনে এনে তার ছেলের বিরাটের জন্মদিন পালন করল কিছুটা গতানুগতিক পদ্ধতির বাইরে।
বৃদ্ধ মায়েদের যাদের সবকিছু থেকেও পারিবারিক দিক থেকে বঞ্চিত হয়ে বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা. যারা ক্ষনিকের আনন্দের জন্য বসে থাকে দিনের পর দিন। তাদেরকে নিয়ে জন্মদিন পালন বস্ত্র দান এবং তাদের মন মত পছন্দের আহার একসাথে করা, সাথে শনিছড়ার তপস্থলি বৈদিক গুরুকুলের ছোট ছোট শিশুদের মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে জন্মদিনের প্রতিটি ক্ষণ বিচরণ করা এক অভূতপূর্ব উপলব্ধি ভোগ করল উপস্থিত নিমন্ত্রিতরা।
সেই হ্যাপি বার্থডে পার্টি তা থেকে সম্পূর্ণরূপে আলাদা এক বৈদিক সনাতনী মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে শাকাহারি ভোজনকে সাঙ্গ করে এই জন্মদিন পালন সর্বক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী পন্থার নিদর্শন বহন করে। একদিকে যেমন বৃদ্ধ মায়েদের আশীর্বাদ অন্যদিকে গুরুকুলের ছোট ছোট কচিকাচাদের আনন্দের সমারোহে এই জন্মদিনের অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে আনন্দের ফোয়ারা। পাশ্চাত্য সভ্যতা ছাড়াও আমাদের দেশীয় সভ্যতায় যে কোন অনুষ্ঠানে আমরা যে কতটুকু সমৃদ্ধ তা আবার অক্ষরে অক্ষরে বুঝল উপস্থিত নিমন্ত্রিতরা।

