নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ জানুয়ারি : রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসক ও নার্সের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। চিকিৎসক নার্স ও টেকনিশিয়ানের অভাবে রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। যে সংখ্যক চিকিৎসক নার্স ও টেকনিশিয়ান রয়েছেন তারা সাধ্যমত চেষ্টা চালিয়ে চিকিৎসা পরিষেবা বহাল রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিধানসভা অধিবেশনে বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছে।
বিধানসভা অধিবেশন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যে চিকিৎসকের বড় ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়টি বিধানসভা অধিবেশনে গুরুত্ব পেয়েছে। বর্তমানে ১,০৩৫ জন চিকিৎসক স্বল্পতা রয়েছে বলে বিধায়ক নির্মল বিশ্বাসের প্রশ্নোত্তরে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহা।
প্রশ্নটি ছিল ত্রিপুরার সরকারি হাসপাতালগুলিতে বর্তমানে কতজন চিকিৎসক কর্মরত আছেন? উত্তরে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে বর্তমানে ১ হাজার ১৫৬ জন চিকিৎসক কর্মরত আছেন।
এর মধ্যে এলোপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার আছেন ১০৩১ জন, ডেন্টাল মেডিকেল অফিসার রয়েছেন ৮১ জন, হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার রয়েছেন ১২ জন, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার রয়েছেন ২৯ জন, সুপার স্পেশালিস্ট ডক্টর সি টি ভি এস, এজিএমসি এবং জিবি হাসপাতালে রয়েছেন দুজন এবং হোমিও ফিজিটিশান একজন।
জনসংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী কতজন ডাক্তার থাকা প্রয়োজন এ বিষয়টি তোলা হয়েছে। প্রতি এক হাজার জনসংখ্যায় একজন চিকিৎসক থাকা প্রয়োজন বলে উত্তরে জানানো হয়েছে। বর্তমানে কতজন চিকিৎসকের স্বল্পতা রয়েছে? এ প্রশ্নোত্তরে জানানো হয় সরকার অনুমোদিত পদের সংখ্যা অনুযায়ী রাজ্যের বর্তমানে ১৩০৫ জন চিকিৎসকের স্বল্পতা রয়েছে।

