উত্তর ২৪ পরগণা, ৬ জানুয়ারি (হি.স.) : বিঘার পর বিঘা জমি, কফি শপ, সোনার দোকান, গোডাউন, বিদেশি মুদ্রা বিনিময় – বনগাঁ সীমান্ত এলাকার কোন ব্যবসার নেপথ্যে নেই প্রাক্তন পুরপ্রধান, দাপুটে তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্যর ওরফে ডাকুর নাম? তাঁর গ্রেফতারির পর শনিবার রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর কীর্তি ফাঁস করতে বসেন বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি দেবদাস মণ্ডল।
শুক্রবার গভীর রাতে ইডির হাতে তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এই শীতেও সীমান্তের রাজনৈতিক হাওয়া বেশ উষ্ণ হয়ে উঠেছে। তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে উঠেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রাজনৈতিক শিবির পৃথক হওয়ার জন্যই শুধু নয়, দেবদাস মণ্ডল বরাবর শংকর আঢ্য তথা ডাকুর চরম বিরোধী বলেই পরিচিত ছিলেন। অতীতেও তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে সরব হয়েছিলেন দেবদাস মণ্ডল। একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও দেখা গিয়েছে প্রকাশ্যে একাধিকবার।
শনিবার সাংবাদিকদের সামনে দেবদাসবাবু বলেন, ”বনগাঁ মহকুমা জুড়ে শংকর আঢ্যর প্রায় দুশো কোটি টাকা সম্পত্তি রয়েছে। একাধিক বাড়ি দখল করেছে। বহু বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এই বনগাঁতেই ৪-৫ বিঘে জমি রয়েছে। রয়েছে কফিশপ, সোনার দোকান, বাবার নামে স্কুল।
এছাড়া দিল্লির করোলবাগে ফ্ল্যাট, দুবাইতে ছেলে শুভ আঢ্যর নামে বিশাল সম্পত্তি রয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই এত সম্পত্তি হয়েছে। আর তাঁর এই টাকার ভাগ নিয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিম”। সীমান্ত এলাকার মানুষজন আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু তাতেও শংকর আঢ্যর মতো ব্যক্তি দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ।
বিজেপি নেতার দাবি, পেট্রাপোল সীমান্তে যে মুদ্রা বিনিময়ের অফিস রয়েছে, সেখানে অবৈধভাবে মুদ্রা বিনিময়ের নামে টাকা আয় করেন শংকর। তাঁর যা প্রতিপত্তি সবই দু নম্বর পথে এসে বলে অভিযোগ দেবদাসের। কটাক্ষ করে তাঁর আরও দাবি, জীবনের শুরুতে রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ছিল শংকর আঢ্যর। সেখানে চা বিক্রি করতেন। এর পর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরই এমন ফুলেফেঁপে ওঠা। যদিও শংকরবাবু বার বারই দাবি করেছেন, তিনি নির্দোষ।

