দুর্গাপুর, ৫ জানুয়ারি (হি. স.) আবারও চিকিৎসায় গাফিলাতির অভিযোগে প্রসুতি মৃত্যুকে ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামল বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মহকুমা হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, মৃতার নাম চুমকি বাউড়ি(২৭)। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের নাগার্জুন বস্তি এলাকার বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সিজার করে চুমকিদেবীর এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। মৃতার স্বামী বাবু বাউড়ি জানান,” স্ত্রী ও সদ্যজাতকে বেডে দেওয়া হয়। কিন্তু রাতেই তার কাছে ফোন আসে। হাসপাতাল থেকে জানানো হয় প্রসূতির অবস্থা ভাল না। তারপরেই ওই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসা চলাকালীন আজ শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয়।’
তিনি আরও বলেন,” মৃত্যুর পর আমাকে ময়না তদন্ত করতে নিষেধ করা হয়। জোর করে সেই কাগজে সই করতে বলা হয়। তখনই আমাদের সন্দেহ হয় চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছে। ততক্ষণে পুলিশ মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে চলে আসে। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী নামানো হয়। পুলিশের এই অতিসক্রিয়তাতে আমাদের সন্দেহ বাড়ে। কেন পুলিশ এত তৎপরতায় মৃতদেহ দাহ করার জন্য শশ্মানে পৌঁছানোর দেওয়ার জন্য বলে। তাতেই পৃরশ্ন জাগে, পুলিশ মৃতদেহ বাড়িতে এনে দিল। আবার শশ্মানে পৌঁছে দেব বলছে। তাড়াতাড়ি দাহ করতে বলছে।”
এদিকে চিকিৎসায় গাফিলাতির অভিযোগ তুলে হাসপাতাল চত্ত্বরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। এমনকি এলাকায় মৃতদেহ পৌঁছাতেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে। ফলে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও পরিবারের পক্ষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের দাবী তুলে সরব হয়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, সিজার করার সময় হয়তো পেটের ভেতর ভুল অপারেশন করছে। তার জেরে হয়তো মৃত্যু হয়েছে। তাই ময়নাতদন্ত করা হোক।”
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে ওই হাসপাতালেই সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেই মৃত্যু হয়েছিল সোনি তুড়ি (১৯) নামে এক প্রসূতির। সোনির পরিবারের লোকজনও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনেছিলেন ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। তারপর এদিনের প্রসুতি মৃত্যুতে মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল সুপারের ধীমান মন্ডল জানান, ” বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”

