কলকাতা, ১ জানুয়ারি (হি.স.): সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ কালীঘাটে মমতার বাড়িতে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কি এটা দলের দ্বন্দ্ব সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে বৈঠক? এমন প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের পাঁচজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, ২ দিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছিলেন তিনি আপাতত তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের মধ্যেই নিজেকে সীমাবদ্ধ থাকতে চান। দলের কোনও নীতি নির্ধারণে এখনই থাকতে চান না, এমনটাও জানিয়েছিলেন তিনি।
এরপর ক্রমশ প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের অন্দরে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ। কখনও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কখনও ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য। তার পরে কুণাল ঘোষের পাল্টা মন্তব্য। সম্প্রতি একের পর এক ঘটনা সামনে এসেছে। এমন আবহে সোমবার সন্ধেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনই কার্যত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখা নিয়ে যে খবর বিভিন্ন সূত্রে ভাসছে, সেই প্রসঙ্গেই দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেছিলেন, ‘এই নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন। জোড়াফুলকে সামনে রেখেই তিনি লড়াই করবেন, এই বিষয়ে আমি নিশ্চিত।’
এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে কুণাল ঘোষের তোপ, ‘অভিষেকের পিছিয়ে যাওয়ার কথা আসছে কী করে? সুব্রত বক্সির বাক্য গঠনে সমস্যা আছে। অভিষেকের লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তিশালী করার জন্য। অভিষেকের ক্ষেত্রে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার হচ্ছে কেন?