উত্তর ২৪ পরগনার, ১ জানুয়ারি (হি.স.): তৃণমূল কর্মী খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা। এই খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে ঘোলার বিলকান্দা পঞ্চায়েত ১ এলাকা। এই ঘটনায় জখম আরও এক। প্রশ্ন উঠেছে এটি প্রতিহিংসা নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের?
নিহত অভিজিৎ বিশ্বাস, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলার বিলকান্দা পঞ্চায়েত ১ এলাকার বাসিন্দা। মা, স্ত্রী এবং তাঁর এক সন্তানও রয়েছে। চানাচুরের ব্যবসা করে সংসার চালাতেন অভিজিৎ। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তিনি বাড়ির সামনে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। পাশে ছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস।
অভিযোগ, সেই সময় দুষ্কৃতীরা প্রথমে বিশ্বজিৎ বিশ্বাসের মাথায় আঘাত করে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর পর অভিজিৎকে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, রাস্তায় ফেলে ইট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে।অভিযোগ, স্থানীয় দুষ্কতীদের বিরুদ্ধে ৷ তোলার টাকা দিতে না-চাওয়ায় ওই তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে আততায়ীদের রোষানলে পড়ে আক্রান্ত হয়েছেন নিহতের দাদা পিসতুতো দাদা বিশ্বজিৎও ।
পরিবারের লোকজন চিৎকার চেঁচামেচিতে জড়ো হয়ে যান। অভিজিৎকে উদ্ধার করে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সোমবার ভোর চারটের সময় তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা।
অভিজিতের পিসতুতো দাদাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মোট আট থেকে দশজন দুষ্কৃতী হামলা চালায়। যার মধ্যে তিনি বাদল, বলয়, অর্জুন, নীতিশ, রাজা ও বিজয় নামের দুষ্কৃতীদের চিনতে পারেন।
পরিবারের লোকজনের আরও দাবি, কালীপুজোর পরদিন থেকেই দুষ্কৃতীদের আক্রমণ বেড়েছে। চানাচুর কারখানা ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও আইনি পদক্ষেপ নেয়নি বলেই দাবি পরিবারের। নিহতের দাদার দাবি, পুলিশ ব্যবস্থা নিলে এই ধরনের ঘটনা ঘটত না। একই সুর শোনা গিয়েছে নিহতের স্ত্রী মৌ বিশ্বাসের গলাতেও। তাঁর কথায়,”আমার যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু খুনিরা যেন রেহাই না পায়”।