BRAKING NEWS

অসমে আসুন আলফা (আই)-প্রধান পরেশ বরুয়া, রাজ্যের পরিবেশ দেখে বদলে যাবে তার দাবি সনদ : হিমন্তবিশ্ব

গুয়াহাটি, ১ জানুয়ারি (হি.স.) : অসমে আসুন আলফা (আই)-প্রধান পরেশ বরুয়া। রাজ্যের বিকশিত পরিবেশ দেখে তার ‘স্বাধীন অসম’-এর দাবি সনদ বদলে যাবে, দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

আজ ইংরেজি নববর্ষ ২০২৪ সালের প্রথম দিন জনতা ভবনে লোকসেবা ভবন চত্বরে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং সম্পাদকদের সঙ্গে ‘নতুন দিনর বার্তালাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে আলফা (আই)-প্রধান পরেশ বরুয়ার স্বাধীন অসম-এর দাবি সম্পৰ্কে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা।

তিনি বলেন, ‘তিন-ছয় মাস অন্তর অন্তর আমি পরেশ বরুয়ার সঙ্গে কথা বলি। এখন ভাবছি আগামী ৬-৭ দিনের মধ্যে তার সাথে কথা বলব। অসমের কোনও মুখ্যমন্ত্রী এর আগে বরুয়ার সঙ্গে কথা বলেননি। কিন্তু এখন আমি তার মতামত জানতে সরাসরি ফোনে কথা বলি।’ ড. শর্মার দাবি, পরেশ বরুয়ার সঙ্গে ক্রমাগত আলোচনায় আগামী দিনে ইতিবাচক ফলাফল আসবে।

এ জন্য তাঁর পরামর্শ, যাঁরা বরুয়ার সঙ্গে কথা বলবেন, তাঁরা যেন একবার তাকে অসমে এসে রাজ্যের বিকশিত পরিবেশ দেখে যাওয়ার কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি আইবিকে বলছি, আমার সমস্ত মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বলেছি, পরেশ বরুয়ার সাথে কথা বলতে। অসমের প্রাপ্তি সম্পর্কে তাকে জানাতে বলেছি। তার অবশ্যই জানা উচিত, অসম বদলে যাচ্ছে। কারণ এখন মাত্র কয়েকজন তার সাথে যোগাযোগ করছেন যারা ‘স্বাধীন অসম’-এর স্বপ্ন দেখেন।

হিমন্তবিশ্ব শর্মার আরও দাবি, তিনি পুলিশকে বলেছেন, কেউ যদি আলফা (আই)-প্রধানের সাথে কথা বলেন তাকে ট্র্যাক না করতে। তবে যেখানে-সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটালে অপরাধীকে গ্রেফতার না করতে বলেননি তিনি। এ জন্য পুলিশ বা সেনা যে পদক্ষেপ নেবে তাতে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অসমের প্রতি পরেশ বরুয়ার ভালোবাসা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তিনি যদি অসমে আসেন তবে জানতে পারবেন, রাজ্যে আর কোথায় সমস্যা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, ‘আলফার গোটা সনদে বাংলাদেশ থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের একটি সমস্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। আমাদের যদি ‘স্বাধীন অসম’ প্রয়োজন হয় এবং ‘স্বাধীন আসাম’-এ যদি একজন অসমিয়া ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারেন তা-হলে এর মূল্য কোথায়? সুতরাং আমি মনে করি, ৩০ বছর আগে পরেশ বরুয়া যখন অসম ছেড়েছিলেন এবং এখন যদি ৩০ বছর পর অসমে ফিরে আসেন তবে তার দাবি সনদ বদলে যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *