ট্রাক চালকদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ ডানকুনি


ডানকুনি, ৩১ ডিসেম্বর (হি.স.) : কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ আইনের প্রতিবাদে ট্রাক চালকদের বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ডানকুনিতে। রবিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছেন তাঁরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ট্রাক চালকরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে লাঠিচার্জ করতেও বাধ্য হয় পুলিশ। বেশ কয়েকজন ট্রাকচালককে আটকও করা হয়। ব্যাপক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। এদিকে, দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় গাড়িয়ে আটকে থাকায় সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের নয়া পরিবহণ নীতিতে ‘হিট অ্যান্ড রানে’র ক্ষেত্রে বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তাতে অভিযুক্ত চালকের ১০ বছরের জেল ও সাত লক্ষ টাকা জরিমানা হবে শাস্তিস্বরূপ। আগে এই অভিযোগে জামিনযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হত। অভিযুক্ত চালক তদন্তে সহযোগিতা করলে বিশেষ ছাড়ও দেওয়া হত। কিন্তু এখন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হবে। দুর্ঘটনার প্রবণতা কমাতেই এই ধরনের উদ্যোগ কেন্দ্রের। কিন্তু কেন্দ্রের এই নয়া পরিবহণ আইনের প্রতিবাদে রবিবার সকাল সাড়ে দশটা থেকে ডানকুনিতে ট্রাক চালকরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। হাজার হাজার ট্রাক চালক রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। দীর্ঘক্ষণ ধরে আটকে থাকে বহু গাড়ি। বেলা ১টার কিছু সময় আগে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। প্রথমে ট্রাক চালকদের অবরোধ তুলে নিতে বলে। কিন্তু ট্রাক চালকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। লাঠিচার্জ শুরু করে বিক্ষোভ তুলে দেয় পুলিশ। বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।

পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী অবশ্য ট্রাক চালকদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। তাঁর বক্তব্য, “কেন্দ্রের এই আইন স্বৈরাচারী অত্যাচার। আইনের মাধ্যমেই অত্যাচার। আইনে রয়েছে হিট অ্যান্ড রানের ক্ষেত্রে চালকদের ১০ বছরের দেশ ও সাত লক্ষ টাকার জরিমানা। দেশে যে আইন রয়েছে, তা মানুষের জন্যই। কিন্তু সেই আইনকে সমর্থন করি না, যাতে মানুষের ওপর অত্যাচার নেমে আসে। রোড সেফটির জন্য আমরাও প্রচুর কিছু করেছি। যাতে দুর্ঘটনা কমে। কেবল বড় বড় শাস্তি দিয়ে দিলাম, তাহলেই সব হয়ে গেল, তেমনটা নয়।