বিজয়কান্তের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল; শোকপ্রকাশ মোদী, রাহুল-সহ অনেকের

চেন্নাই, ২৮ ডিসেম্বর (হি.স.): অভিনেতা তথা ডিএমডিকে প্রধান বিজয়কান্ত-এর অকাল প্রয়াণে শোকের আবহ গোটা দেশজুড়ে, বিষণ্নতায় ভেঙে পড়েছে রাজনৈতিক মহল। বিজয়কান্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন প্রমুখ। বিজয়কান্তের মরদেহে ফুল দিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানান স্ট্যালিন।

বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন বিজয়কান্ত। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিলেন ডিএমডিকে প্রধান বিজয়কান্ত। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কারণে বিজয়কান্তকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। দেশিয়া মুরপোক্কু দ্রাবিড় কাজগাম (ডিএমডিকে) দলের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
শারীরিক অসুস্থতার কারণে করোনার পরীক্ষা করিয়েছিলেন অভিনেতা তথা ডিএমডিকে-র প্রতিষ্ঠাতা ক্যাপ্টেন বিজয়কান্ত। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এর আগে মঙ্গলবার, ডিএমডিকে জানিয়েছিল, তাঁকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেই সময়ে, ডিএমডিকে-র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজয়কান্ত “স্বাস্থ্য” এবং পরীক্ষার পরে বাড়ি ফিরবেন। বৃহস্পতিবার সকালেই দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিজয়কান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, আর সাড়ে ৯টার আগেই খবর এল তিনি প্রয়াত হয়েছেন।

বিজয়কান্তের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক শোকবার্তায় জানিয়েছেন, “বিজয়কান্তজির প্রয়াণে অত্যন্ত শোকাহত। তামিল চলচ্চিত্র জগতের একজন কিংবদন্তি, তাঁর ক্যারিশম্যাটিক অভিনয় লক্ষাধিক মানুষের হৃদয় জয় করেছে। একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে, তিনি জনসেবার জন্য গভীরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন, তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে স্থায়ী প্রভাব রেখেছিলেন। তাঁর চলে যাওয়া একটি শূন্যতা তৈরি করেছে, যা পূরণ করা কঠিন হবে।” রাহুল গান্ধী এক্স মাধ্যমে জানিয়েছেন, “থিরু বিজয়কান্তজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। সিনেমা এবং রাজনীতিতে তাঁর অবদান লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ে দৃঢ় ছাপ রেখে গিয়েছে। এই কঠিন সময়ে তাঁর পরিবার এবং অনুরাগীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।”