জয়নগর, ২৬ ডিসেম্বর (হি.স.): জয়নগরের শাহাজাদাপুর গ্রামে একটি সংগঠনের অধীন জমিতে দীর্ঘদিন ধরে অস্থায়ীভাবে চলছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র। গ্রামে স্থায়ী ভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরির স্বার্থে সরকারকে নিঃশর্তে ওই জমি দান করে দিতে চাইছে সংগঠনটি। কিন্তু অভিযোগ, নানা কারণে আটকে রয়েছে সেই প্রক্রিয়া। সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের দ্বারস্থ হন সংগঠনের কর্মীরা। সাংসদ দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
জয়নগর ২ ব্লকের শাহাজাদপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে বিবেকানন্দ সেবা কেন্দ্র নামে একটি সংগঠন। বছর কুড়ি আগে ওই গ্রামে সরকারের তরফে নতুন উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সেই সময় সংগঠনের একচালা ঘরেই সেই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু হয়েছিল। পরবর্তী কালে গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কাজও শুরু হয় সেখানে। বর্তমানে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র বদলে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র হয়েছে। গ্রামের মানুষ নিয়মিত চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন। কিন্তু অ্যাসবেসটাসের ছাউনি দেওয়া সেই ঘরেই কোনওরকমে কাজ চালাতে হচ্ছে।
সরকারি তরফে জানানো হয়, জমি পেলে স্থায়ী ভবন তৈরি হবে। এরপরেই প্রায় দু’কাটা ওই জমি সরকারকে দান করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই সংগঠন। পঞ্চায়েত-সহ ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়। তবে এখনও জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। সংগঠনের সম্পাদক সিদ্ধিশ্বর গায়েন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই আমরা চাইছি ওখানে স্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হোক। জমি দিতে আমরা প্রস্তুত। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। তবে নানা কারণে আটকে রয়েছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবেন।” ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্থায়ী ভবন তৈরির জন্য সাধারণত যে পরিমাণ জমি প্রয়োজন, ওই এলাকায় তার থেকে কিছুটা কম জমি রয়েছে।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করেন বিবেকানন্দ সেবা কেন্দ্রের কর্মীরা। জমি দান করতে চাওয়ার কথা জানান। শুনে বিষয়টি সমাধানে উদ্যোগী হন সাংসদ। সুপারিশ চিঠি লিখে জেলা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। সাংসদ বলেন, “ওখানে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে। ওরা চাইছেন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্থায়ী ভবন তৈরি হোক। জমি দান করতে ওরা প্রস্তুত। আমি চিঠি লিখে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি। সরকারি তরফে না হলে, আমার সাংসদ তহবিলের টাকায় ওই এলাকায় স্থায়ী ভবন তৈরি হবে।” সিদ্ধিশ্বর বলেন, “সাংসদ পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। চিঠিও লিখে দিয়েছিন। চিঠি নিয়ে দ্রুত জেলা শাসকের কাছে যাওয়া হবে।”