ভূমিকম্প নিয়ে রাজ্যভিত্তিক মহড়ার অঙ্গ হিসেবে আগামী ২১ ডিসেম্বর পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় ৬টি স্থানে ভূমিকম্প নিয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। মূলত: জনসাধারণকে ভূমিকম্পের বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যেই এই মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসকের কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলনে পশ্চিম জেলার জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার এই সংবাদ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান, জেলার যে ৬টি স্থানে এই মহড়া অনুষ্ঠিত হবে সেগুলি হলো সদর মহকুমার আইজিএম হাসপাতাল, জিরানীয়া মহকুমার বোধজংনগরের আইওসিএল বটলিং প্ল্যান্ট, তুলাকোনা স্কুল সংলগ্ন আবাসিক এলাকা, মোহনপুর মহকুমার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়, হেজামারা ব্লক অফিস প্রাঙ্গণ ও হেজামারা ব্লকের সুবলসিং এলাকা। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলাশাসক জানিয়েছেন আগামী ২১ ডিসেম্বর মহড়া শুরু হওয়ার আগে সকাল ৯ টায় ১ মিনিট সাইরেন বাজানো হবে। এরপর মহড়া শুরু হবে। উমাকান্ত একাডেমি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্টেজিং এলাকা থাকবে। জেলাশাসকের কার্যালয়ে থাকবে জেলা ইমার্জেন্সি কন্ট্রোল রুম। তিনি জানান, এই ৬টি স্থানের মহড়ায় প্রায় ২৫টি দপ্তর ছাড়াও এনডিআরএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ, মিলিটারি, ফায়ার সার্ভিস, এনজিও, টিএসআর, টিএনজিসিএল, আইওসিএল-এর জওয়ান ও প্রতিনিধিগণ অংশ নেবেন। জেলাশাসক মহড়া চলাকালীন সময় জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেলাশাসক ডা. বিশাল কুমার জানান, সারা রাজ্যের সাথে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাতেও গত ১৫ নভেম্বর থেকে বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযান শুরু হয়েছে। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় ১৭টি কেন্দ্রীয় ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প ও প্রতি ঘরে সুশাসন ২.০ অভিযানে ১৭টি প্রকল্পের সুবিধা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া এ সমস্ত প্রকল্প ও পরিষেবা সম্পর্কে জেলার জনগণকে অবহিত করা হচ্ছে। জেলায় এখন পর্যন্ত ৮৪টি জায়গায় বিকাশ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২৮ হাজার ১৫৪ জন উপকৃত হয়েছেন। এ সমস্ত বিকাশ শিবিরগুলিতে কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ছাড়া অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যগণও উপস্থিত ছিলেন। শিবিরগুলিতে ৩,৪৮৫ জনকে আয়ুষ্মান কার্ড দেওয়া হয়েছে। শিবিরগুলি থেকে ২৪ হাজার নাগরিক চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলাশাসক সুভাষ চন্দ্র সাহা ও সহকারি প্রকল্প অধিকর্তা পিন্টুলাল সাহা উপস্থিত ছিলেন।