BRAKING NEWS

এ মাসের মধ্যে আলোচনাপন্থী আলফা-র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্য, বলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব

– ‘কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অসমকে স্বাধীন করা যাবে না

– ‘গ্রেনেড নিক্ষেপ করে অসমের উন্নয়ন বাধাগ্ৰস্ত হবেএতে কেউই উপকৃত হবেন নাপরেশ বরুয়াদের এটা বুঝতে হবে

নয়াদিল্লি১৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : এ মাস অথবা আগামী বছর (২০২৪)-এর জানুয়ারির মধ্যে আলোচনাপন্থী আলফা-র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্য ধার্য করা হয়েছে, এখানে সাংবাদিকদের জানান অসমের মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, এ জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ হয়ে গেছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলফা-র সঙ্গে একবার চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে সরকার পরেশ বরয়া নেতৃত্বাধীন আলফা-স্বাধীনের সাথে আলোচনার জন্য আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবে। আমি আশা করি, শান্তি চুক্তির জন্য একটি যথাযথ খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। তবে কিছু চূড়ান্ত হওয়া এখনও বাকি।’

উজান অসমে কথিত গ্রেনেড হামলার দুটি ঘটনার পরিপ্ৰেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা বলেন, ‘আলফা-স্বাধীনের কমান্ডার-ইন-চিফ পরেশ বরুয়া এবং তাঁর সংগঠনের অন্য ক্যাডারদের অবশ্যই বুঝতে হবে, গ্রেনেড নিক্ষেপ করে অসমের উন্নয়ন বাধার সৃষ্টি করবে। এতে কেউই উপকৃত হবেন না।’ তিনি বলেন, ‘সহিংসতা অসমকে পিছনে নিয়ে যাবে। কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অসমকে স্বাধীন করা যাবে না। অসমে নতুন পরিবেশ তৈরি হয়েছে। রাজ্যে বিনিয়োগও আসছে। এ ধরনের ঘটনা রাজ্যের উন্নয়নকে থমকে দেবে’, জোরের সঙ্গে বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাই আমি প্রশ্ন করতে চাই, নিজের মাতৃভূমিতে কে বোমা ছুঁড়ে? কারও প্রতি ক্ষোভ থাকলে তা চলতে দিন, সেটা ভিন্ন কথা। এটা আমাদের চিন্তার বিষয় নয়। কিন্তু এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংগঠিত করে অসমে কী আনা হবে?’ পরেশ বরুয়ার সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলফা-স্বধীন-এর নেতাদের সাথে আলোচনা করা কোনও সমস্যা নয়, তবে গুরুতর বিষয় হলো একটি চুক্তি করাই আসল চ্যালেঞ্জ।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমি পরেশ বরুয়ার সঙ্গে কথা বলি। ফলাফল শূন্য। কালই তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আমি তা করতে পারি। আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর দশ থেকে ১২ বার তার সঙ্গে কথা বলেছি। তার সাথে কথা বলা কোনও বিষয় নয়। তবে আমাদের দুজনেরই নিজস্ব বাধ্যবাধকতা আছে। মতামতের মিল এখানে আসল বিষয়। আলোচনা করা সমস্যা নয়।’

উল্লেখ্য, মূল উগ্রপন্থী সংগঠন আলফা-র চেয়ারম্যান অরবিন্দ রাজখোয়া, উপ-সভাপতি প্ৰদীপ গগৈ, সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেতিয়া, ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ রাজু বরুয়া, পররাষ্ট্র সচিব শশ চৌধুরী প্রমুখকে গ্রেফতার এবং বাংলাদেশ থেকে পুশ-ব্যাকের পর এই গোষ্ঠীর সঙ্গে ২০১১ সাল থেকে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *