নিজস্ব প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া, ১৩ ডিসেম্বর : ধলাই জেলার গন্ডাছড়া মহকুমা রাজ্যের মধ্যে পিছিয়ে পড়া একটি মহকুমা। রাজ্যের মানচিএের মধ্যে দরিদ্র সীমার নিচে এই মহকুমা। এখানে জাতি–উপজাতির বসবাস। প্রায় ৮০হাজার মহকুমাবাসীর রোজগারের একমাএ পথ জুমচাষএবং একশ্রেণির সাধারণ মানুষ ডুম্বুর জলাশয় থেকে মাছ ধরে যা পান তা দিয়ে একমুঠো ভাতের যোগাড় করন। আর একশ্রেণির সাধারণ মানুষ জুম চাষ এবং জঙ্গলের লতাপাতা শাক লাকরি বিক্রি করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। জঙ্গলের লতাপাতা লাকড়ি বেচে চিকিৎসা করার মত সাধ্য নেই তাদের।
দরিদ্র সীমার নিচে বসবসাকারি সাধারণ জাতি–উপজাতি মানুষের টাকা পয়সা নেই যে চিকিৎসা করবেন আগরতলা কিংবা উদয়পুর বা বহিরাজ্য গিয়ে। চিকিৎসা করার মত সাধ্য তাদের নেই। রয়েছে সরকারি মহকুমা হাসপাতাল। দূরদূরান্তের জনজাতিরা আসলে তাঁরা সঠিক ভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। আসলেও চিকিৎসকসকের দেখা নেই। চিকিৎসা করলেও ঔষধ পাচ্ছেন না।বাজার থেকে ঔষধ কিনতে হয়। যেটা বাম আমল থেকে চলে আসছে আজও তাই। মহকুমায় এমনো কিছু পাড়া আছে যেখানে সঠিক সময় মত গাড়ি পাওয়া যায়না।পাওয়া গেলেও ভাড়া আকাশ ছোঁয়া।কারণ রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাবনপাড়া ,হনুমান পাড়া,কসরায় পাড়া,ভগীরথপাড়া, ধনুরাম পড়া, দলপতি,কল্যান সিং, রতন নগর এই সকল এলাকা থেকে রোগী আসলেও সময় মত আসতে পারছে না। কারণ এই সকল এলাকায় গাড়ি সময় মতো পাওয়া যায় না৷ যে কারণে মহকুনার হাসপাতালের ডাক্তারের সাথে এলাকাবাসীর যোগাযোগ সময় মত হচ্ছেন না।তাছাড়া গন্ডাছড়া মহকুমার হাসপাতালের যে দশা রোগী আসলেও ভর্তি হতে ভয় পান। কখন ছাঁদ ভেঙ্গে রোগীর উপর পরে, পাছে তাদের ভয়।
তাছাড়া মহকুমার হাসপাতাল অধীনে সাব -সেন্টার আছে প্রায় ১০টি।বর্তমান জুমিয়াদের জুম চাষ শেষ। জুমের ফসল ঘরে তুলছেন। গন্ডাছড়া মহকুমা এমনিতে ম্যালেরিয়া প্রবণ ।এই সময় জুমের ফসল নিয়ে তারা ঘরে ফিরছেন।দেখা যায় যে বিভিন্ন ঋতু কালীন নদী নালা ছড়া , পাতা পচা জমানো জল খেয়েছেন।তাছাড়া মশা কামড়ে ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু নিয়ে জুম থেকে ফিরে আসছেন। প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে ম্যালেরিয়া । লক্ষণীয় বিষয় হলো , সাব সেন্টারগুলোতে ম্যালেরিয়ার কোন ঔষধ নেই। সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা এই সাব সেন্টার গুলোতে যাচ্ছেন না।এলাকা জুড়ে সাব-সেন্টার থাকলেও ঔষধ নেই বললেই চলে। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বলেও অভিযোগ।