আগরতলা, ১১ ডিসেম্বর : গত ২৫ বছর কৃষক বন্ধুদের সাথে প্রতারণা করে গেছে পূর্বতন সরকার। কিন্তু বিজেপি পরিচালিত সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় আধুনিক কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে। আজ সোনামুড়া মহকুমার অধীন বৈরাগীবাজার নাট মন্দির পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
আজ থেকে রাজ্যের ৪৯টি স্থানে ধান ক্রয় কেন্দ্রে খাদ্য জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তর এবং কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তর-এর যৌথ উদ্যোগে রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে চলতি খারিফ মরসুমে উৎপাদিত ধান ক্রয় কর্মসূচির শুরু হয়ে হয়েছে।
এদিন অনুষ্ঠানে শ্রী চৌধুরী বলেন, ধানের মূল্য বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহ বেড়েছে ৷ ফলে, ফলনও বেড়েছে। ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয়ের কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে ত্রিপুরায় কয়েক লক্ষ কৃষক উপকৃত হয়েছেন। তাতে, ত্রিপুরা সরকারের আর্থিক বোঝা বেড়েছে ঠিকই, কিন্তু কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।
তাঁর কটাক্ষ, অতীতে ত্রিপুরায় এমএসপি-র মাধ্যমে ধান কেনার কোনও বন্দোবস্তই ছিল না। ফলে কৃষকরা বঞ্চিত হতেন। ২৫ বছর কৃষক বন্ধুদের সাথে প্রতারণা করে গেছে অতীতের সরকার। রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় আধুনিক কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে। যাতে করে কৃষকরা তাদের রোজগার বৃদ্ধি করতে পারে । বিজেপি সরকার তা শুরু করেছে৷ ত্রিপুরা সরকার কৃষকদের কাছ থেকে কুইন্টাল প্রতি ২১৮৩ টাকা দরে ধান ক্রয় করছে।
তাছাড়া, কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সার বীজ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষক বন্ধু কেন্দ্র ও কৃষক জ্ঞান অর্জন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পায় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। সরকার ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে কৃষক বন্ধুদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করছে বলে জানান তিনি।
এবছর রাজ্য সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এদিন মন্ত্রী আশা ব্যক্ত করে বলেন, এবছর নির্ধারিত ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রাকে অর্জন করতে পারবো।