ক্যানিং, ৭ ডিসেম্বর (হি. স.) : বুধবার বিকেল থেকে কখনও হালকা, কখনও ভারি কখনও বা মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আর এই বৃষ্টির কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ধান চাষিরা। ইতিমধ্যেই খরিফ মরশুমের ধান ক্যানিং, গোসাবা, বাসন্তী এলাকার বহু জায়গাতেই মাঠে পড়ে রয়েছে। অনেক চাষিরাই এখনও সেই ধান ঘরে তুলতে পারেননি। এরই মধ্যে বৃষ্টি এসে পড়ায় তাই কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অনেকেরই। স্ত্রী মেহেরুন্নেসাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির মধ্যেই কেটে রাখা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত ছিলেন সোলেমান মোল্লা। তিনি বলেন, “ এখনও মাঠের সব ধান পাকে নি। কিছুটা কেটে রেখেছিলাম। কিন্তু বৃষ্টি চলে আসায় সেই ধানই ঝাড়াই করে ঘরে তুলছি। এই বৃষ্টিতে পাকা ধানের যথেষ্ট ক্ষতি হল।”
অন্যদিকে, এই বৃষ্টিতে ধান চাষে ক্ষতি হলেও আনাজ চাষের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধাই হয়েছে বলে দাবি কৃষকদের। শুধুমাত্র ফুলকপি, বাঁধা কপি চাষ বাদ দিয়ে মাচার ফসল যেমন সিম, বরবটি, ঝিঙা, ধুধুল চাষে যথেষ্ট উপকার হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আনাজ যেমন বেগুন, টমেটো, কাঁচালঙ্কা চাষের পক্ষে এই বৃষ্টি উপকার করেছে বলেই দাবি চাষিদের। বাসন্তী ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা অভিক ঘোষ বলেন, “ ধান চাষের ক্ষেত্রে এই বৃষ্টিটা ক্ষতিকর হলেও, আনাজ চাষের ক্ষেত্রে উপকারি। তবে যেখানে নিচু জমিতে জল জমার সমস্যা রয়েছে সেখানে ভারি বৃষ্টিতে জল জমলে চাষের ক্ষতি হবে।”