আগরতলা, ২৯ নভেম্বর : রজ্জব আলী মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে উদয়পুর-কিল্লা সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসী। এদিন রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পথ অবরোধে বসে এলাকার লোকজন। অবরোধের জেরে যানচলাচল স্তব্ধ হয়ে পরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে গিয়েছেন এলাকার বিধায়ক রামপদ জমাতিয়া।
উল্লেখ, অটো চালানোকে কেন্দ্র করে সামান্য বাকবিতন্ডা থামাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। গতকাল রাতে উদয়পুর এগ্ৰিকালচার চৌমুহনী রাঙামাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের এলাকার যুবক আক্তার হোসেন একটি অটো রিকশা চালিয়ে আসছিল। তখন ওই এলাকার বাসিন্দা কালু সাহা আচমকা আক্তার হোসেনকে মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ পরিবারের সদ্যসদের। কালুর সাথে বলাই দাস নাম আরেক যুবক ওই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল। দুই পক্ষের মারামারির খবর পেয়ে পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন আক্তার হোসের মামা রজ্জব আলী। ওই ঘটনায় রজ্জব আলী মারামারি না করার জন্য বলতেই কালু সাহা, বলাই দাস সহ কয়েক জন মিলে রজ্জব আলীকে মারতে থাকে।
এক সময় রজ্জব আলী (৬০) মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে এলাকাবাসী মিলে রজ্জব আলীকে উদ্ধার করে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তারপর রজ্জব আলীর ছেলে রাতে রাধা কিশোরপুর থানায় তিনজনের বিরোধে মামলা দায়ের করেন। তিনজনকে রাতেই রাধাকিশোরপুর থানায় পুলিশ গ্ৰেপ্তার করে নিয়ে গিয়েছে। আজ সকাল থেকে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে রাঙামাটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অধীন উদয়পুর – কিল্লা রাস্তা অবরোধে বসে এলাকাবাসি।
এলাকাবাসীর আরও অভিযোগ , বিশ্বজিৎ পাল নামে আরও একজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাকেও গ্ৰেপ্তার করার দাবি জানায়। এবং মৃত রজ্জব আলীর পরিবারের পাশে সরকারি সাহায্যের জন্য অনুরোধ করা হয়। এলাকার বিধায়ক রামপদ জমাতিয়ার খুনের সাথে জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। ওই আশ্বাসের ভিত্তিতে এলাকাবাসী অবরোধ প্রত্যাহার করেন।

