নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনামুড়া, ১৮ নভেম্বর : মেলাঘর পূর্ব চন্ডীগড়স্থিত ত্রিপুরা দুঃসাহসিক সামাজিক অভিযান সংস্থার উদ্যোগে এবং ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের সহায়তায় আজ সিপাহীজলা জেলার মোহনভোগ ব্লকের কনফারেন্স হলে মানবাধিকার সুরক্ষায় – সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব এবং কর্তব্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান সংগঠিত করা হয়। প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা সরকারের সমবায় এবং সংখ্যালঘু দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া সহ অন্যান্য অতিথিগণ।
এই সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানে মোহনভোগ পঞ্চায়েত এবং আনন্দপুর ভিলেজ এলাকা থেকে নাগরিক বৃন্দ, উত্তর কামরাঙ্গাতলি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের এন এস এস স্বেচ্ছাসেবক, মেলাঘর থানা এবং তৈবান্দাল থানার পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ কর্মী, আশা কর্মি, অঙ্গনোয়াড়ী কর্মি, বন দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকগন, মোহনভোগ ব্লক এলাকার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন, মোহনভোগ ব্লক এলাকার বিভিন্ন পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য/ সদস্যাগন, বিভিন্ন স্ব-সহায়ক দলের সদস্যাগন মিলে প্রায় ৩৪০জন লোকের সমাগম ঘটে।
ত্রিপুরা সরকারের সমবায় এবং সংখ্যালঘু দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া ওনার ভাষনে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের প্রশংসা করেন এবং ত্রিপুরার সমস্ত স্তরের জনগণ যাতে মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে তাদের অধিকার আদায় করতে পারেন সেই বিষয়ে কাজ করার আবেদন রাখেন। মানবাধিকার কমিশন কিভাবে জনগণদেরকে সুশাসন উপহার দিতে পারে এবং জনগণ কিভাবে মানবাধিকার কমিশনের কাছ থেকে আইনের শাসন পেতে পারে সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা রাখেন উপস্থিত অতিথিবর্গ গন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য বিমল কান্তি রায় এবং সুবীর চন্দ্র সাহা। কমিশনের সচিব রতন বিশ্বাস এবং ওএসডি অনিমেষ ধর প্রমুখ গন উপস্থিত ছিলেন।উপস্থিত সমস্ত অতিথিবর্গরা মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে উপস্থিত প্রতিনিধিদের সামনে আলোচনা ব্যক্ত করেন।
কোথাও আইনের শাসন বিঘ্নিত হলে মানবাধিকার কমিশন কিভাবে ভূমিকা পালন করবে, মানবাধিকার কমিশন মিলিতভাবে সমাজে সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখবে সেই বিষয়ে আলোচনা রাখেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত ভাষণ রাখেন সংস্থার সচিব তথা জাতীয় যুব পুরস্কারপ্রাপ্ত লিটনশীল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোহনভোগ পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীভাস ভৌমিক।