কলকাতা, ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : শুক্রবার ইডির তলবে সাড়া দিয়ে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী হাজির হলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। এ নিয়ে চারবার তাঁকে তলব করল ইডি। পাশাপাশি এদিন ইডির তলবে হাজির হন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক।
পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নানা সময়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাক পাচ্ছেন বিভিন্ন পুরসভার প্রধানরা। একাধিকবার তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে দিয়ে দুর্নীতি তদন্তের কিনারা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। নানা সময়ে নথি, তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের সেই তলবে সাড়াও দিয়েছেন পুরপ্রধানরা। তাঁর ডাক কবে আসবে, তা জানতে বুধবার ইডি দফতরে হাজির হয়েছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তার ঠিক ২ দিনের মধ্যেই তলব পেলেন তিনি।
গত বুধবার আচমকাই টিটাগড়ে প্রাক্তন পুরপ্রধানকে দেখা যায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। তলব পেয়ে এসেছেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছিলেন, “আমি এসেছিলাম জানতে যে ওঁরা কবে আসবেন। যিনি আইও, তাঁর কাছে জানতে এসেছিলাম, কবে আমাকে আবার আসতে হবে। বললেন পরে ফোন করে জানাবেন।” এর ২ দিন পর, শুক্রবারই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয় ইডি দপ্তরে। ডাক পেয়ে নির্ধারিত সময়েই প্রশান্তবাবু সেখানে পৌঁছে যান। সঙ্গে নথিপত্র।
এর আগে গত ৭ এবং ৮ নভেম্বর তাঁকে তলব করে ইডি। ওই দুদিন ইডি দফতরে হাজিরাও দিয়েছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। এই তলবের আগে প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যানের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই সময় তাঁর দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডি। এর পর ইডি দফতরে তলব।
প্রশান্তবাবুর দাবি, নথি দিতেই কেবলমাত্র ইডি দফতরে আসতে হচ্ছে তাঁকে। এদিন ইডির তলব পেয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির দিয়েছেন বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক। তাঁর বিরুদ্ধেও পুর নিয়োগ দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ ওঠায় নথিপত্র-সহ তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।