দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৭ নভেম্বর (হি.স.) : জয়নগরের দোলুয়াখাকিতে তৃণমূল নেতা খুনের পর এলাকায় যেতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন সিপিএম এবং আইএসএফ প্রতিনিধিরা। সেখানে ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার পথে এ বার বাধার মুখে পড়ল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও।
শুক্রবার দুপুরে গুদামের হাট এলাকায় কংগ্রেস নেতাদের আটকায় পুলিশ। তখন আইনের বই হাতে তাঁদের আটকানোর কারণ জানতে চান কংগ্রেস নেতারা। পাশাপাশি প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের নেতারা।
পুলিশি বাধায় আটকে গিয়ে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আইনের বই নিয়ে দেখালাম। বললাম, কোথায় লেখা আছে বলুন। কোনও উত্তর দিতে পারল না (পুলিশ)। দুটো ইংরেজি শিখে এসেছে। সে গুলো বলছে। মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারছে না। এখন ত্রাণও দিতে দিচ্ছে না।’’
কংগ্রেসের অভিযোগ, আইন- শৃঙ্খলার অবনতির জন্য পুলিশই দায়ী। কংগ্রেসের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন জয়ন্ত দাস, অসিত মিত্র, প্রতাপ মণ্ডল, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সৌম্য আইচ রায় প্রমুখ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুরের এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস জানান, শুধু গ্রামের লোকেরাই গ্রামে থাকবেন। গ্রামে শান্তি বজায় রাখতে আপাতত বহিরাগত মানুষকে গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছেন না তাঁরা।
এর আগে বাম প্রতিনিধি দল এবং ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকেকে এলাকায় ঢুকতে দেয়নি প্রশাসন। পুলিশের যুক্তি, গ্রামে শান্তি বজায় রাখার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, কংগ্রেসের অভিযোগ, সব কিছুকে রাজনৈতিক নজরে দেখা হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়।