BRAKING NEWS

টাকা পয়সার বিবাদকে কেন্দ্র করে রক্তারক্তি কান্ড, আহত দুই

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ১০ নভেম্বর : টাকা পয়সার হিসেব নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট করে  রক্তারক্তি ঘটনা ঘটেছে। দুইজন বর্তমানে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ উত্তেজনা বিরাজ করছে।
টাকা পয়সার বাটবাটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারপিট অবশেষে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় দুইজনকে ধর্মনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় অজয় দেব (২১) বাড়ি ধর্মনগরের কলেজ রোড, সানি দেবনাথ(২৫)সে ধর্মগরের আলগাপুরে ভাড়া থাকে, সুমন দেবনাথ (২৬) তার বাড়ি পশ্চিম রাধাপুরে, মিন্টু নাথ (২৪) তার বাড়ি হাফলং এর  গর্জন টিলা এলাকায়। এরা প্রত্যেকেই পেশায় রাজমিস্ত্রি। সুমন দেবনাথ এর অভিযোগ মিন্টু নাথ সুমন দেবনাথ এর সাথে কাজ করতো। কিন্তু বৃহস্পতিবারে মিন্টু নাথ, অজয় দেব এবং সানি দেবনাথ এর সাথে কাজ করে।
বৃহস্পতিবার রাতে ধর্মনগর বাজারে পরস্পরের সাথে দেখা হয় এবং কথা কাটাকাটি হয়ে মারপিটের উপক্রম সৃষ্টি হয়। তখন বাজারের লোকেরা তাদেরকে আলাদা করে দেয় এবং বাজারে সৃষ্টি হওয়া মারপিট বন্ধ করে দেয়।
সুমন দেবনাথ এর অভিযোগ অজয় এবং সানি মিন্টুর ফোন ও হেলমেট রেখে দেয়। সুমন দেবনাথ তাদের জন্য ধর্মনগরের মোটরস্ট্যান্ডের জুরি নদীর ব্রিজের কাছে রাত্রি দশটার দিকে অপেক্ষা করছিল। সেখানে সানি ,অজয় এবং মিন্টু আসলে নিজেদের মধ্যে আবার পুরনো শত্রুতা ধরে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। মিন্টুর ফোন এবং হেলমেট ফেরত দিয়ে দেয়।

কিন্তু ঝগড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছলে মিন্টুর ছুরির আঘাতে সানি দেবনাথ এবং অজয় দেব আহত হয়। ছুরি দিয়ে আঘাত করে মিন্টু সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও এলাকাবাসীরা সুমন, অজয় এবং সানিকে আটক করে ফেলে। রক্তাক্ত অবস্থায় সানি এবং অজয়কে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর কর্মীরা এসে ধর্মনগরের উত্তর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান এবং পুলিশ সুমন দেবনাথ কে এলাকা থেকে আটক করে ধর্মনগর থানায় নিয়ে যায়।

শান্তিপ্রিয় ধর্মনগরবাসির জন্য এই ধরনের ঘটনা একটা বীভৎস ঘটনা বলে মানুষের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি হয়। রাত্রি সাড়ে দশটায় দৌড়াদৌড়ি হইচই লেগে যায়। মানুষ রক্ত রক্ত বলে যার যার নিজ বাড়ি ঘরে আশ্রয় নেয়। ধর্মনগরবাসীর কাছে এখনো এই ধরনের ঘটনা বিশ্বাসের বাইরে বলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *