সাধু-নামঘরিয়া (বৈষ্ণব মহন্ত)-দের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার বিধায়ক আফতাব উদ্দিন মোল্লা

গুয়াহাটি, ৮ নভেম্বর (হি.স.) : সাধু ও নামঘরিয়া (বৈষ্ণব মহন্ত)-দের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে গোয়ালপাড়া জেলার অন্তর্গত জলেশ্বরের বিধায়ক আফতাব উদ্দিন মোল্লাকে। গুয়াহাটির পূর্ব পুলিশ জেলার ডিসিপির নেতৃত্বে পুলিশের দল দিশপুরে বিধায়ক আবাসনের এফ ব্লকে অবস্থিত দক্ষিণ শালমারার কংগ্ৰেস বিধায়ক ওয়াজেদ আলি চৌধুরীর আবাস থেকে বুধবার রাত প্রায় ৯.৫৫ মিনিটে গ্রেফতার করেছে। রাতে তাঁকে রাখা হয়েছিল কাহিলিপাড়ায় স্পেশাল ব্রাঞ্চের হেফাজতে।

উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর গোয়ালপাড়ায় এক প্রকাশ্য জনসভায় হিন্দুধৰ্ম তথা সাধু ও নামঘরিয়া (বৈষ্ণব মহন্ত)-দের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। উদাত্ত কণ্ঠে প্রদত্ত ভাষণে তিনি বলেছিলেন, ‘হিন্দুরা ব্যভিচারী। সাধু ও নামঘরিয়ারা ধৰ্ষক। কোথাও কোনও মহিলা ধর্ষিতা হলে ধরে নিতে হবে তাঁকে (মহিলা) কোনও সাধু বা নামঘরিয়া ধর্ষণ করেছেন…।’ এই মন্তব্যের পর সমগ্ৰ রাজ্যজুড়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

বিভিন্ন দল ও সংগঠন এবং ব্যক্তিবিশেষে রাজ্যের বিভিন্ন প্ৰান্তে বিধায়ক আফতাব উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের তাঁকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিধায়ক মোল্লার বিরুদ্ধে এ ধরনের এফআইআর দিশপুর থানায় দাখিল করেছিলেন ভেটাপাড়ার জনৈক দীপক কুমার দাস। ওই এফআইআর-এর ভিত্তিতে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৯৫ (এ), ১৫৩ (১)(বি), ৫০৫ (২) ধারায় দিশপুর থানায় মামলা রুজু করে রাতেই তাঁকে গ্রেফতার করতে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারির অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানায় পুলিশ। অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারি অনুমতিপত্ৰে অনুমোদন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ শালমারার কংগ্ৰেস বিধায়ক ওয়াজেদ আলি চৌধুরীর আবাস থেকে রাত প্রায় ৯.৫৫ মিনিটে পুলিশ আফতাব উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেফতার করেছে।

এদিকে, হিন্দুধৰ্মের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করায় নিজের দল কংগ্রেসেরও রোষে পড়েছেন জলেশ্বরের বিধায়ক আফতাব উদ্দিন মোল্লা। গতকালই তাঁর এই মন্তব্যের সাফাই চেয়ে শো-কজ করেছেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা।