নিজস্ব প্রতিনিধি, গন্ডাছড়া, ৮ নভেম্বর : গন্ডাছড়ায় জোড়া খুনের আসামীকে পুলিশ এখনো জালে তুলতে পারেননি। ৩১অক্টোবর ডুম্বুর জলাশয় থেকে বস্তাবন্দী পচাগলা রুপাস্বড়ি জমাতিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে রইস্যাবাড়ি থানার পুলিশ। ময়মাতদন্ত করে বৃহস্পতিবার স্বামী যুগল কিশোর জমাতিয়া এবং পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় মৃতদেহ। মায়ের অন্তিমক্রিয়া শেষ হতে না হতেই ২রা নভেম্বর নিখোঁজ ১২বছরের নাবালিকা কন্যার মৃতদেহ ডুম্বুর জলাশয় একটি অংশ মাইলাছড়া মায়ের দেহ থেকে একটু দূরে উদ্ধার করা হয় । মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের ১২ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার হয় মেয়ের মৃতদেহ।
মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখনো পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের জড়িত কাউকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার জনগণের তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় থানার পুলিশ।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় গত ২২ অক্টোবর গোমতী জেলার বীরগঞ্জ মহকুমার এমপি থানাধীন তিন গড়িয়া থেকে মা ও ১২ বছরের নাবালিকা নিখোঁজ হয়ে যায়। এ নিয়ে স্বামী যুগল কিশোর জমাতিয়া অম্পি থানায় নিখোঁজ ডাইরি করেন।তিনি জানান যে আমি দিনমুজরি কাজ করি। প্রতিদিনের মতো তিনি সেদিনও কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে চলে যান। বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন তার স্ত্রী ও কন্যা বাড়িতে নেই ।
আত্মীয়-স্বজন ও সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোন সন্ধান না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তিনি থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করেন। যুগল কিশোর জমাতীয়া জানান যে তিন গড়িয়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার স্ত্রীর অবৈধ প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। নাবালিকা কন্যা ও তার মাকে একটি বাইকে করে ওই ব্যক্তি অমরপুর নতুন বাজার পাহাড়পুর থেকে নিয়ে গিয়েছিল বলে খবর মিলেছে। সে অনুযায়ী তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশ বাইকটি উদ্ধার করতে সম্ভব হয়েছে। অমরপুর নতুন বাজার রাস্তার পাহাড়পুর থেকে বীরগঞ্জ থানার পুলিশ বাইকটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। উদ্ধার করা বাইকটির নম্বর টিআরটি ০৩এল ৮৮৮৫। পুলিশ সেই সূত্র ধরে অভিযুক্তকে আটক করার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে বলে জানা গেছে। এদিকে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত মা ও মেয়েকে ডম্বরয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিশ্চয়ই নৌকার প্রয়োজন হয়েছে । কোন নৌকা করে তাদেরকে ডুম্বুর জলাশয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তা খুজে বের করা খুবই জরুরী। এই তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব হলে নিশ্চয়ই এই হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক কে জালে তোলা সম্ভব হবে। এদিকে পুলিশের তদন্তকার্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। পুলিশ নড়েচড়ে বসলে এবং সঠিক তদন্ত করলে এই হত্যা মামলার আসল রহস্য উদঘাটন এবং অভিযুক্তদের জালে তোলা সম্ভব হবে বলেও বিভিন্ন মহল মনে করছে।