১৮ ঘণ্টা পর হামবুর্গ বিমানবন্দরে অপহরণ নাটকের অবসান, গ্রেফতার অভিযুক্ত

হামবুর্গ, ৬ নভেম্বর (হি. স.) : কোনও ধরণের রক্তপাত ছাড়াই জার্মানির হামবুর্গ বিমানবন্দরের অপহরণ নাটকের অবসান । ঘটনার হোতা পুলিশের কাছে বিনা বাধায় আত্মসমর্পণ করেছেন। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে তার সঙ্গে থাকা শিশুটিকে। তবে এই ঘটনায় রবিবারও অনেকটা সময় ধরে অচল ছিল জার্মানির হামবুর্গ বিমানবন্দর। বন্ধ ছিল ফ্লাইট উঠা-নামা। ফলে বহু যাত্রী বিমানবন্দরে আটকে পড়েন। এ ঘটনার পর হামবুর্গ বিমানবন্দরের কার্যক্রম রবিবার পুনরায় চালু হলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ফ্লাইট তারপরও বিলম্বিত হয়।

জানা গেছে, ৩৫ বছর বয়সের ওই ব্যক্তি তার চার বছরের মেয়েকে নিয়ে শনিবার রাতে গাড়ি চালিয়ে হামবুর্গ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে টারমাকে গিয়ে একটি উড়োজাহাজের নিচে আশ্রয় নেয়। তার হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল এবং তার এই কাণ্ডের পরপরই বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে পুলিশ ওই এলাকা ঘিরে ফেলে। পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তি দুইবার আকাশে গুলি ছোড়েন এবং গাড়ি থেকে একাধিক জ্বলন্ত বোতল ছুড়ে মারেন।

পরে জানা যায়, ওই ব্যক্তি যে উড়োজাহাজটির নিচে আশ্রয় নিয়েছেন সেটি তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীভর্তি বাণিজ্যিক ফ্লাইট ছিল, যেটি সে সময় উড্ডয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উড়োজাহাজটি থেকে পরে যাত্রীদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হলে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হয় এবং বিমানবন্দরে আসা শত শত যাত্রীকে হোটেলে পাঠাতে হয়।

পুলিশ শুরুতে ওই ব্যক্তির এ কাণ্ডের উদ্দেশ বুঝতে না পারলেও পরে শিশুটির মা জানায়, সন্তানের হেফাজত নিয়ে তার সঙ্গে তার সাবেক স্বামীর দ্বন্দ্বের কারণে সে এমনটা করেছে। এরপর পুলিশ ওই ব্যক্তির সঙ্গে সমঝোতা করা চেষ্টা করে। কিন্তু ওই ব্যক্তি প্রথমে পুলিশের দেওয়া শর্ত মানতে রাজি হয়নি এবং মেয়েকে নিয়ে তুরস্ক চলে যাওয়ার দাবি জানায়।

প্রসঙ্গত, ওই ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক। যার বিরুদ্ধে গত বছরও মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তিনি সাবেক স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই মেয়েকে নিয়ে তুরস্ক চলে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটির মা শিশুটিকে জার্মানিতে ফেরত আনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *