দীর্ঘ ৪১ বছর পর স্থায়ী ঠিকানা পেলো ত্রিপুরা অলিম্পিক এসোসিয়েশন

ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ নভেম্বর।। আরম্ভর পূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজ্যে অলিম্পিক ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো। স্থায়ী ঠিকানা পেলো ত্রিপুরা অলিম্পিক এসোসিয়েশন। কো-অপারেটিভ সোসাইটি রেজিস্ট্রার অ্যাক্ট ১৯৬০ অনুযায়ী অনুমোদন পেয়েছিল ১৯৮২ সালের ৪ঠা জানুয়ারি। দীর্ঘ ৪১ বছর ধরে গৃহহীন, অফিসহীন অবস্থায় কাজ চালিয়ে আসছিল ত্রিপুরা অলিম্পিক এসোসিয়েশন। রাজ্য সরকারের অনুমোদনপ্রাপ্ত একমাত্র অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন একদিকে যেমন ঐতিহ্যমন্ডিত অপরদিকে সর্বভারতীয় অলিম্পিক ফেডারেশনের প্রচুর সংখ্যক আয়োজনে এই ত্রিপুরা অলিম্পিক এসোসিয়েশন থেকে বহু বছর ধরে খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করে আসছে। চেয়ারম্যান রতন সাহা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তৃতায় গত ১৫-২০ বছর ধরে বিশেষ করে একজন নাম বলতেও তিনি কুন্ঠাবোধ করেননি, সেই বিতর্কিত প্রাক্তন পিআই রূপক দেব রায় ও তার কিছু সাঙ্গপাঙ্গ মিলে রাজ্য ক্রীড়ার মানচিত্রটাকে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ইতোমধ্যে রাজ্য ক্রীড়া জগৎ সেই অপ্রত্যাশিত নাগপাশ থেকে মুক্তি পেতে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে ত্রিপুরা অলিম্পিক এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ত্রিপুরা অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি তাঁর একক স্পনসরশিপে, প্রয়োজনে একাধিক কর্পোরেট সেক্টরেরও কো-স্পন্সর শিপে এই স্টেট অলিম্পিক গেমসের আয়োজন করে খেলোয়ারদের ফোকাস করার উদ্যোগ নেবেন। যেন তেন প্রকারেন, ত্রিপুরা স্টেট অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন নামক অনুমোদনহীন সংস্থার হাত থেকে সরকারিভাবে হলেও ন্যায্য অধিকার আদায় করে খেলার নামে আর্থিক নয় ছয় এবং বহি:রাজ্যের খেলোয়াড়দের খেলিয়ে নেওয়ার মতো অপরাধ জনিত কারণে ওই দুষ্টচক্রকে উপযুক্ত শাস্তি বিধানেরও উল্লেখ করেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিল কমপ্লেক্সে পুরোনো বিল্ডিংকে অলিম্পিক ভবনের নামাকরণে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাজ্যের যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রী টিংকু রায়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ত্রিপুরা স্পোর্টস কাউন্সিলের সচিব সুকান্ত ঘোষ, যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা সত্যব্রত নাথ, ত্রিপুরা অলিম্পিক এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রতন সাহা, একটিং প্রেসিডেন্ট বিশ্বেশ্বর নন্দী, সহ-সভাপতি স্বপন সাহা, অমিত চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারি সুজিত রায় সহ অন্যান্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরাও উপস্থিত ছিলেন। সাধারণ সচিব সুজিত রায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *