নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ অক্টোবর:
ভোক্তারা এখন সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানে সারা মাস বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী পাচ্ছেন। আগে এরকম হত না। মাসের প্রথমদিকে সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানে পণ্য সামগ্রী পাওয়া যেত। এখন সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানে ভর্তুকীতে সরিষার তেলও দেওয়া হচ্ছে। আজ জিরানীয়া মহকুমায় সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানে ভোক্তাদের মধ্যে সরিষার তেল বিক্রয় কর্মসূচির সূচনা করে খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী একথা বলেন।
আজ বিকেলে প্রথমে নলগড়িয়া মার্কেটস্থিত ন্যায্য মূল্যের দোকানে খাদ্যমন্ত্রী ভোক্তাদের মধ্যে ভর্তুকীতে সরিষার তেল বিক্রয় কর্মসূচির সূচনা করেন। খাদ্যমন্ত্রী জানান, গনবন্টন ব্যবস্থায় কোন পণ্য সামগ্রীই বিনামূল্যে দেওয়া হয় না। ভর্তুকী মূল্যে ভোক্তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হয়। সরকারের এই কর্মসূচি নিয়ে কোন কোন মহল থেকে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলেন মন্ত্রী। রাজ্য সরকার জনকল্যাণে কাজ করছে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র সরকারের জনমুখী কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সরকারের বদনাম করছে। বলা হচ্ছে ন্যায্য মূল্যের দোকানে খালি ব্যাগ দেওয়া হচ্ছে। রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না। এটা সঠিক নয়।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের সময়ে এবারেই প্রথম সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে সরিষার তেল দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়াও খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আজ মোহনপুর বাজারে ন্যায্য মূল্যের দোকান ও জিরানীয়া কলেজ চৌমুহনীস্থিত ন্যায্য মূল্যের দোকানে ভোক্তাদের হাতে ভর্তুকী মূল্যে সরিষার তেল তুলে দেন। সেই সাথে খাদ্যমন্ত্রী ভোক্তাদের হাতে বিনামূল্যে ক্যানভাস ব্যাগও তুলে দেন।
অনুষ্ঠানগুলিতে উপস্থিত ছিলেন রাণীরবাজার পুর পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার দাস, জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারম্যান রতন কুমার দাস, খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতা স্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা নির্মল অধিকারী, জিরানীয়া মহকুমার অতিরিক্ত মহকুমা শাসক সুশান্ত দেববর্মা, বিশিষ্ট সমাজসেবী গৌরাঙ্গ ভৌমিক প্রমুখ।